Sunday, 23 February, 2025

সর্বাধিক পঠিত

আমন ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি


আমন ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

সরকার নির্ধারিত আমন ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা এক-চতুর্থাংশও পূরণ করা যায়নি। বাজারদর ও সরকারী দরে দাম ও পরিশ্রমের বেশ পার্থক্য রয়েছে। তাই কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে চাইছেন না। যার ফলাফল স্বরূপ আমন ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে হয় ভোগান্তি

সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে যেসব নিয়ম মানতে হয় তাতে কৃষকদের ভোগান্তি বেশি।

আরো পড়ুন
পাবদা (Ompok pabda) মাছের লাভজনক চাষ পদ্ধতি

পাবদা মাছ (Ompok pabda) বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি মাছ। এটি দ্রুত বর্ধনশীল এবং চাহিদাও বেশি। সঠিকভাবে চাষ করলে Read more

বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষে সফলতা
মাশরুম

বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করে সফলতার নজির গড়েছেন লক্ষ্মীপুরের মো. দেলোয়ার হোসেন। প্রবাস জীবন শেষ করে বাড়ির আঙিনায় মাশরুমের খামার গড়ে Read more

তাছাড়া নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে গিয়ে ধান দিয়ে আসা কৃষকের জন্য একটা বাড়তি খরচও বটে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে ব্যাপক হয়রানির শিকার হন তারা।

কিন্তু বাজারে ধান বিক্রি করলে দামও বেশি পান সাথে হয়রানিও হতে হয় না তাদের।

এমন অবস্থায় হবিগঞ্জের খাদ্য কর্মকর্তারা পুরো মৌসুমে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন।

যদিও কর্মকর্তারা চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ পূরণ করতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন।

এখন যে চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে তা লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত।

চাল সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রারও বেশি

হবিগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ৪ হাজার ২৫২ মেট্রিক টন আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। অন্যদিকে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ১২২ টন।

এবার সরকারী দামে ২৭ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৪০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহ করছে।

হবিগঞ্জে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ধান ও চাল সংগ্রহের সময় শেষ হয়ে যাবে।

চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৩২৫ টন ধান কেনা সম্ভব হয়েছে।

কৃষকরা বলছেন, সরকার বাজারদরের কাছাকাছি দামে ধান কিনলেও ধান দিতে পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি।

সেই সঙ্গে বাড়তি হিসেবে যুক্ত হয় পরিবহন খরচ।

তাই তারা সরকারকে ধান দিতে তাদের তেমন আগ্রহ নেই।

হবিগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে প্রকারভেদে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

জেলায় মোট চাল প্রায় পাঁচ হাজার টন সংগ্রহ হয়েছে।

অর্থাৎ অতিরিক্ত ১ হাজার ১৮৮ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

মিলারদের আগ্রহ দেখে সরকার নতুন করে ২ হাজার ৭৮০ টন চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) দিলদার মাহমুদ।

তিনি বলেন, কৃষকরা গত দুই বছর ধরেই ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন।

যার প্রধান কারণ হিসেবে পাইকারের কাছে বিক্রি করলে কৃষকরা বেশি লাভবান হন বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান যে, সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে হলে নিজ খরচ ও দায়িত্বে গুদামে নিয়ে আসতে হয়।

কিন্তু পাইকাররা জমি থেকেই সেই ধান সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন।

দিলদার মাহমুদ জানান, ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে কোন প্রভাব পড়বে না।

এর কারণ সেদ্ধ চাল সংগ্রহে সরকার তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেও অতিরিক্ত সংগ্রহ করছেন।

0 comments on “আমন ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ