Tuesday, 16 December, 2025

আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার অনেকটাই অপূর্ণ


টাঙ্গাইলে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার অনেকাংশই পূরণ হয়নি। সরকারি খাদ্যগুদামে সংগ্রহের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার ১৫ ভাগেরও কম। জেলার মোট ১২টি উপজেলায় এবার ধান সংগ্রহ করার কথা। ৫ হাজার ৮৭ মেট্রিক টন আমন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু ধান সংগ্রহ করা গেছে মাত্র ৭৫৬ দশমিক ১৬০ মেট্রিক টন। এটি লক্ষ্যমাত্রার ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ পূরণ করে।

তবে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার শতভাগই পূরণ হয়েছে বলে জানা গেছে।

খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কয়েকজন কৃষক এর সাথে এ নিয়ে কথা হয়।

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

তারা জানান, এবার হাট বাজারের আমন ধানের দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় ভালো ছিল।

এ ছাড়া সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রির ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।

ধান বেশি শুকানোসহ পরিশ্রম করতে হয় অনেক বেশি।

তাই কৃষকেরা সরকারি গুদামে বিক্রয় করতে চান না।

এর চেয়ে বাইরে বিক্রিতেই বেশি আগ্রহী ছিল তারা।

গত বছর ৭ নভেম্বর এই ধান চাল সংগ্রহের অভিযান শুরু হয়।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এটি চলতে থাকে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার কৃষক অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি ভাবে ধান কেনা হয়েছে।

সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ২৭ টাকা।

প্রতি কেজি চাল কেনা দর ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

সূত্র আরও জানায়, সদর উপজেলা থেকে ২ হাজার ৫৮ মেট্রিক টন ধান কেনার কথা ছিল।

কিন্তু তার বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ৫০ দশমিক ৪৫ মেট্রিক টন।

সখীপুরে ৭৭২ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ১ দশমিক ৯৪ মেট্রিক টন।

মির্জাপুরে সংগ্রহ হয়েছে ৬৭ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন।

অন্যদিকে নাগরপুরে সংগ্রহ হয় ৩১ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন।

দেলদুয়ারে ২২৩ মেট্রিক টনের বিপরীতে ৯১ দশমিক ৯২০ মেট্রিক টন।

জেলার অন্যতম উপজেলা কালিহাতীতে মাত্র শূন্য দশমিক ৮৭ মেট্রিক টন সংগ্রহ হয়।

একমাত্র বাসাইল উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ মেট্রিক টন।

আর একমাত্র এই উপজেলার লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে।

তবে প্রত্যেক উপজেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে বলে জানা যায়।

জেলায় ১৬ হাজার ৬২২ দশমিক ১৪০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।

তার সম্পূর্ণই সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট সকলে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন।

তিনি জানান, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়েই ধান চাল সংগ্রহ করে মজুত করা হয়।

এবার বাইরে ভালো দাম পেয়েছে কৃষকেরা।

তাই সরকারি গুদামে ধান বিক্রি না করে সরাসরি হাটবাজারে বিক্রি করেছেন।

তবে চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে খাদ্য বিভাগ শতভাগ সফল বলে জানান তিনি।

0 comments on “আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার অনেকটাই অপূর্ণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ