প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের আঞ্চলিক তালিকা করা হয় কৃষির বিভিন্ন সূচকে। ২০২১ সালের করা তালিকায় আন্তর্জাতিক বীজ সূচকে শীর্ষ দশে উঠে এসেছে বাংলাদেশের একটি কোম্পানি। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য করা হয় আঞ্চলিক এই তালিকা। তালিকায় সপ্তম অবস্থানে এসেছে লাল তীর সিডস লিমিটেড নামের কোম্পানি। ওয়ার্ল্ড বেঞ্চমার্ক অ্যালায়েঞ্চ ও ইউনাইডেট নেশন ফাউন্ডেশন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় শীর্ষ দশে বাংলাদেশী কোম্পানি
এ তালিকায় ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের দুটি কোম্পানির নাম রয়েছে।
২০১৯ সালে সর্বশেষ এই তালিকা করা হয়।
এর পর এ বছর একসেস টু সিডস ইনডেক্স প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো।
এ সূচক তৈরিতে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ছয়টি বিষয়।
এগুলো হল যথাক্রমে সক্ষমতা তৈরি, বিপণন ও বিক্রি, বীজ উৎপাদন, গবেষণা ও উন্নয়ন, জিনগত সম্পদ এবং মেধাস্বত্ব ব৵বস্থাপনা, সুশাসন ও কৌশল।
ছয়টি ক্ষেত্রে নম্বর পেয়ে সপ্তমে লালতীর
উপরোক্ত ছয়টি ক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের মার্কিং এ লাল তীর সিডস পেয়েছে ৫৯ দশমিক ২ নম্বর।
এ কোম্পানি সবচেয়ে ভালো করেছে বীজ উৎপাদনে।
লাল তীর সিডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আনাম এর সাথে এ বিষয়ে কথা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে বীজ সূচকে লাল তীরের এই অবস্থান অবশ্যই গৌরবের।
গত কয়েক দশক দেশের বীজ শিল্পের উন্নয়নে যে অবদান লাল তীর বিশেষভাবে রেখেছে, তার স্বীকৃতি এটা।
বৈশ্বিকভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছে তাদের এই কোম্পানি।
তাই লাল তীরের জন্য কৃষকের আস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি মনে করেন।
ইস্ট-ওয়েস্ট সিড থেকে লাল তীর লিমিটেড
বীজ সূচকের প্রতিবেদনে লাল তীর লিমিটেড এর সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়েছে, মাল্টিমোড গ্রুপের অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠান লাল তীর সিডস লিমিটেড।
১৯৯৫ সালে এই কোম্পানি যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এর আগে এই কোম্পানির নামকরণ করা হয়েছিল ইস্ট-ওয়েস্ট সিড বাংলাদেশ লিমিটেড।
২০০৭ সালে এর নাম পরিবর্তন করা হয়।
তখন থেকেই এটি লাল তীর সিড নামে যাত্রা শুরু করে।
সবজি বীজের প্রবক্তা হিসেবে দেশে লাল তীরের প্রচুর সুনাম রয়েছে।
২০১০ সাল থেকে এই কোম্পানি সবজি বীজের পাশাপাশি ধানবীজের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।