Wednesday, 24 December, 2025

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে বাজারে, বাড়েনি সবজির


মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে খাদ্যজাত দ্রব্যের। পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও মুরগির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় বাজারে সবজির দাম কমেছে। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে তাই এ নিয়ে ক্রেতাদের মনে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।

দাম বেড়েছে আলুর, বাড়েনি কোন সবজির দাম

গত শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার সমূহ ঘুরে ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশের কাঁচা পাট রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা: পশ্চিমবঙ্গের চটকল শিল্পে চরম সংকট
বাংলাদেশের কাঁচা পাট রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা: পশ্চিমবঙ্গের চটকল শিল্পে চরম সংকট

ঢাকা গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশ কাঁচা পাট রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করায় গভীর সংকটের মুখে পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চটকলগুলো। Read more

পালং শাক চাষ লাভজনক করতে চাষিদের করনীয় ও বর্জনীয়
পালং শাক চাষ লাভজনক করতে চাষিদের করনীয় ও বর্জনীয়

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পালং শাক একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও লাভজনক শীতকালীন সবজি। অল্প সময়ে, কম পুঁজিতে এবং সীমিত জমিতে এটি চাষ Read more

বাজারে থাকা সবজির বেশিরভাগের দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে।

সরেজমিনে জানা যায় প্রতি কেজি টমেটো ২০ টাকা কমে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তাছাড়া বরবটি ৮০ টাকা কেজি, সিম ৪০-৬০ টাকা কেজি, গোল বেগুন ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা।

অন্যদিকে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা দরে।

করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৬০ টাকা দরে, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা প্রতি কেজি, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রয় হচ্ছে।

দাম কমেছে অন্যান্য সবজিরও। প্রতিকেজি পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারে আলুর দাম বেড়েছে।

প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

নতুন আলুর কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা।

বর্তমানে পেঁয়াজের প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অথচ গত সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫৫-৬০ টাকা দরে।

এছাড়াও রসুনের দাম বেড়ে গেছে।

দাম বেড়েছে ইন্ডিয়ান ও চায়না রসুনের।

১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে ইন্ডিয়ান রসুন বিক্রি হচ্ছে।

আগে যা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতো।

চায়না রসুনের দাম বেড়ে গিয়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়।

আগে এর দর ছিল হতো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি।

এসকল বাজারে কাঁচা মরিচ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

অপরদিকে কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, সেখানে লেবুর হালি ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া শুকনা মরিচ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

একই সাথে আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

হলুদের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২২০ টাকায়।

ডালের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত ডিমের দাম

দাম বেড়েছে ডালের।

ইন্ডিয়ান ডাল ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেশি ডাল সেই স্থানে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিম এর দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

লাল ডিমের ডজন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সোনালী বা কক মুরগির ডিমের ডজন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম না বাড়লেও বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম।

১৫০ টাকায় ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়।

অপরদিকে লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।

0 comments on “সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে বাজারে, বাড়েনি সবজির

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ