পরিত্যক্ত জায়গা কে এই লকডাউনের সময় খুব ভালো কাজে লাগানো যায়। এর প্রকৃষ্ট উদাহরন সৃষ্টি করেছেন গাজীপুরের নাজমুল হাসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি অনুষদের শিক্ষার্থী হলেও শখের কৃষিতে কোন অংশে কম যান না সেটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন। আর তার এ ধরনের চেষ্টায় পরিবারের চাহিদা তো মিটছেই, সাথে সাথে কিছু বিক্রয় করাও যাচ্ছে।
নাযমুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বি-ফার্ম শেষে এম-ফার্মএর পড়াশোনা করছেন। ফজলুল হক মুসলিম হলের এই ছাত্র করোনার প্রকোপ শুরু হলে বাড়িতে চলে আসেন। গৃহবন্দী হয়ে কাটাতে কাটাতে বিরক্ত হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে অনেকটা শখের বশে শুরু করেন বাড়ির পাশের লাগোয়া পরিত্যক্ত জায়গায় কৃষি কাজ।
নাজমুলের ভাষ্যমতে, বাড়ি আসার সপ্তাহখানেকের মধ্যই তিনি অস্থির হয়ে পড়েন। সাথে বই-পুস্তক না থাকায় পড়াশোনারও কোন সুযোগ নাই। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবার অবস্থাও নেই। তাই বীজ সংগ্রহ করে শুরু করেন সবজি চাষ। তিনি বুঝতে পারছিলেন যে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। খাদ্যসংকটহলে কি হবে এসব ভাবতে ভাবতেই তার কৃষি কাজ এর কথা মনে হয়। তখন থেকেই শুরু করেন এই কাজ। তবে কৃষি কাজ করার জন্য চাই অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন কৃষিবিষয়ক অ্যাপের মাধ্যমে ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেই মত করে চেষ্টা করেছেন। তার দাবি এতে সাধারন কৃষকদের থেকে তুলনায় দ্রুত ফলন পেয়েছেন।
নাজমুল জানান যে কৃষি এখন উন্নত হয়েছে, যা সাধারণ গ্রামের কৃষকেরা বোঝেন না। অনুমানের ভিত্তিতে তারা কৃষিকাজ, পরিচর্যা করে থাকেন। যার কারনে সঠিক সময়ে সঠিক জিনিসের ব্যবহার থেকে যায় প্রায় সময়ই। ফলন সেই কারণেই আশানুরূপ হয় না।
বন্ধুদের কথা উল্লেখ করেন খুব মজা করে। তিনি বলেন তার বন্ধুরা তাকে নাম দিয়েছে ‘গ্রাজুয়েট কৃষক’। গ্রাজুয়েশন শেষ করে কৃষি কাজ করছেন বলেই এমন নাম দিয়েছে তারা। তবে তাতে তিনি রাগ করেন না, বরং তিনি বিষয়টা উপভোগ করেন। তার মতে সোশ্যাল মিডিয়া বা গল্পগুজবে সময় কাটানোর থেকে এমন কৃষি কাজ করেই শান্তি। এতে সময়ও ভালো কাটে তার।
Md. Shariar Sarkar
June 27, 2020 at 3:53 pmলকডাউন এ কদু আপ 🙂 গুড, সময় কাটানোর একটা ভালো মাধ্যম উঠান কৃষি । আমিও শুরু করেছি 🙂