Monday, 12 May, 2025

সর্বাধিক পঠিত

মৎস্যখাতে অর্থায়ন এবং গবেষণা বাড়ানোর আশ্বাস কেজিএফের


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘দেশে নির্বাচিত চাষযোগ্য মাছের প্রজাতি বৃদ্ধি ও প্রজননে প্রোবায়োটিকের প্রভাব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আমিনুল হক বিল্ডিং কনফারেন্স রুমে ওই কর্মশালা যৌথভাবে আয়োজন করে ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এবং কেজিএফ।

কর্মশালায় জানানো হয়, দেশে ২০০১-২০০২ সালে মাছের উৎপাদন ছিল দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন। যা ২০১৮-২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৪০৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এ অর্জন সম্ভব হয়েছে মাছ চাষে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ, সম্প্রসারণ, বৈচিত্র্যকরণ, এবং নিবিড়করণের মাধ্যমে।

আরো পড়ুন
বোরো ধানের দাম বেড়ে কৃষকদের মুখে হাসি

গত বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের চাষাবাদে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি বিপণন বিভাগ (ডিএএম) এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে Read more

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে ফসলের উৎপাদন কমছে: গবেষণা

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা ও খরার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফসলের উৎপাদন ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে বলে জানিয়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা। Read more

এ খাতে আরও বেশি অর্থায়ন এবং গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ)।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশীদ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড.এ.কে.শাকুর আহম্মদ। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন কেজিএফের নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।

অনুষ্ঠানে জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, আমাদের গবেষণা ও প্রযুক্তিগুলো মৎস্যচাষি বান্ধব হতে হবে। গবেষণাগুলো যেন খামারভিত্তিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি এ খাতে আরও বেশি অর্থায়ন এবং গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর (পিআই), প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান প্রকল্পের উদ্দেশ্য, কার্যক্রম ও প্রত্যাশিত ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাছ চাষে প্রোবায়োটিকের ব্যবহারের অবস্থা জানা যাবে এবং রুই, তেলাপিয়া, গুলশা, পাবদা এবং শিং মাছের দ্রুত বিকাশের জন্য উপযুক্ত প্রোবায়োটিকগুলো নির্ধারণ করা হবে ।

বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, বাজারে অনেক ধরনের ভেজাল প্রোবায়োটিক রয়েছে, আমাদের সঠিক প্রোবায়োটিকের নির্বাচন ও প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে আরও গবেষণা করা দরকার। সরকারি পর্যায়ে প্রোবায়োটিকের মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তবেই খামারিরা এ থেকে উপকৃত হবেন।

0 comments on “মৎস্যখাতে অর্থায়ন এবং গবেষণা বাড়ানোর আশ্বাস কেজিএফের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ