Monday, 25 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

ভোলা জেলার বিলে জলাবদ্ধতা, লোকসান কোটি টাকা


পানিনিষ্কাশনের কালভার্টের মুখগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে ভোলা জেলার বিলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে বিলে ৬০০ একর ফসলি জমি আছে। জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রশাসনের কাছে কৃষকেরা আবেদন করে আসছেন ছয় বছর ধরে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই আবেদনে সাড়া দেয়নি আজ অবধি। ফসল উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে তিন হাজার কৃষক ভীষণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিবছর তাঁদের লোকসান হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা।

ভোলার সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে বিলটির অবস্থান।

সদুরচর নামক বিলটিতে ১২ মাসই পানি জমে থাকার কারণে কৃষকেরা কোনো ফসল ফলাতে পারছেন না।

আরো পড়ুন
পান চাষ পদ্ধতি

পান চাষ একটি লাভজনক কৃষি পদ্ধতি, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশে এটি ব্যাপক চাষ করা হয়। Read more

মিঠা জাতের পান চাষে লাভবান কৃষক

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলের ঘাট এলাকার পান চাষের এই চিত্র সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। পান চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এটি ক্রমশ Read more

সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ এক বছর আগে বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি নালা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই উদ্যোগ বাস্তবে রূপ নেয়নি।

ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান যে, সদুরচর বিলের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে উপজেলা ও জেলার মাসিক উন্নয়ন সভায়।

২০২০ সালের প্রথম দিকে জাপানের সাহায্য সংস্থা জাইকা এ সংক্রান্ত একটি পদক্ষেপ নেবার কথা বলে।

সদুরচর বিলের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নালা নির্মাণের জন্য একটি স্কিম তৈরি করে দিতে বলে তারা।

কৃষি কর্মকর্তা জানান জাইকাকে নালা নির্মাণের জন্য একটি স্কিম তৈরি করে দেয়া হয়েছে।

কিন্তু এ কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে, তারা বলে এই দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে।

এই কৃষি কর্মকর্তা অভিযোগ করেন যে গত দুই বছর ধরে এমনই চলছে।

পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সদুরচর বিলটি অবস্থিত।

এ ব্লকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন কর্মরত আছেন।

তিনি হিসাব দেন সদুরচর বিলে প্রায় ৬০০ একর তিন ফসলি জমি আছে।

৫০০ একরের মতো জমিতে রবি মৌসুমে বোরো আবাদ হতো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ৬০০ একর জমিতে ধানের আবাদ করলে বছরে সাড়ে ৭ কোটি টাকার ধান উৎপাদন সম্ভব।

অন্যদিকে ২৭ কোটি টাকার ফসল ফলানো সম্ভব সবজি বা অন্য ফসল আবাদ করলে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আবু জাফর ও জাইকার প্রকৌশলী এনামুল হক িএর সাথে কথা হয়।

তারা জানান যে, সদুরচর বিলের পানিনিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করতে দরপত্র আহ্বান করেছেন তারা।

এখনো সেই দরপত্র মূল্যায়ন হয়নি।

দরপত্র মূল্যায়ন হলে দ্রুত পাকা নালার কাজ শুরু হবে।

0 comments on “ভোলা জেলার বিলে জলাবদ্ধতা, লোকসান কোটি টাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *