রাজশাহীর কৃষকরা এবার বোরো চাষ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে।। ইতিমধ্যেই চারা রোপণ পর্যন্ত বিঘা প্রতি তাদের খরচ পড়েছে ৯ হাজার টাকার মতো। এরপর জমিতে সার দেওয়া, নিড়ানি, ধান কাটা ও মাড়াই ইত্যাদি তো রয়েছেই। সেগুলোর জন্য যে খরচ তা নিয়েও চিন্তিত এখানকার কৃষকরা। তাই সামগ্রিক ভাবে বোরো চাষ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষকরা।
ডিজেলের দাম বাড়াতে খরচ বেড়েছে অনেক
বোরো চাষে হঠাৎ খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়ে গেছেন রাজশাহীর কৃষকেরা।
কৃষকেরা জানান যে, গত বছর নভেম্বরে দেশে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা করে বেড়ে গেছে।
প্রতি লিটার ডিজেল বর্তমানে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিজেলের এই দাম বেড়ে যাবার কারণে সেচ ও ট্রাক্টরে খরচ বেড়ে গেছে অনেক।
সেই সাথে শ্রমিকের মজুরিও আগের তুলনায় বেড়েছে।
এদিকে আবার সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষকেরা সার এর যোগান পাচ্ছেন না।
কৃষক আবদুল হাই জানান যে, এবার গত বছরের তুলনায় প্রতি বিঘাতে ২ হাজার টাকার বেশি খরচ বেড়েছে।
শ্রমিক খরচ আগে ৩৫০ টাকা থাকলেও এবার তা হয়ে গেছে ৪৫০ টাকার বেশি।
ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বেড়েছে সেচ ও ট্রাক্টরের চাষের খরচ।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।
গত সোমবার পর্যন্ত জেলায় বোরোর চারা রোপণ করা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে।
রাজশাহী জেলায় ডিজেল চালিত সেচযন্ত্র রয়েছে সাড়ে ২২ হাজারের বেশি।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রচার অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন।
তিনি বলেন, বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে আরও কিছু সময় লাগবে।
এখনো অনেকের খেতেই আলু রয়ে গেছে।
তাঁরা আলু তোলার পর বোরোর চারা রোপণ করবেন।
ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে কিছুটা খরচ বেড়ে গেছে।
তবে তিনি দাবি করেন সারের দাম বাড়েনি।
সরকার কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষকও নানা উন্নত কৃষি উপকরণ সহজ ভাবেই পাচ্ছেন।
৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা টিএসপি সারের সরকার নির্ধারিত দাম ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রয় হবার কথা।
অন্যদিকে এমওপি ৭৫০ টাকা, ডিএপি ৮০০ টাকা, ইউরিয়া সার ৮০০ টাকায় বিক্রি হবারও কথা।
কিন্তু তানোর, পুঠিয়া ও গোদাগাড়ী উপজেলা পর্যায়ে কৃষকরা জানান ভিন্ন তথ্য।
তারা জানান, টিএসপি ১ হাজার ৪০০ টাকায়, এমওপি ৯০০ টাকায়, ডিএমপি ১ হাজার টাকায় ও ইউরিয়া ৯০০ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে।