ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিএলআরআই) একটি শেড থেকে গবেষণার জন্য রাখা দুটি ভিন্ন প্রজাতির ৩৮টি মোরগ চুরির ঘটনা নিয়ে ব্যাপক ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, কিছু কর্মকর্তা এই মোরগগুলোকে বিভিন্ন সময়ে জবাই করে খেয়েছেন। এসব যখন শেষ হয়েছে, তখন একে চুরির ঘটনা হিসেবে সাজিয়েছেন। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত, প্রতিষ্ঠানটির কোনো কর্মকর্তাই কথা বলছেন না।
তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম টিবিএসকে বলেন, ‘সিকিউরিটির দায়িত্বে ছিল যারা, তাদের বিরুদ্ধে সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
সূত্র জানায়, ‘চুরি’ যাওয়া মোরগগুলো আরআইআর ও হোয়াইট লেগহর্ন প্রজাতির। বিএলআরআই-এর পোল্ট্রি ও উৎপাদন গবেষণা বিভাগ দীর্ঘদিন যাবত এই মোরগগুলো নিয়ে গবেষণা করে আসছে।
১৯৯৯ সালের দিকে জাপান সরকার থেকে উপহার পাওয়া ৪টি জাতের মধ্যে দুটি জাত এগুলো। এসব জাত গবেষণা করেই বিভিন্ন সময় স্বর্ণা, সুবর্ণ, শুভ্রার মতো বিভিন্ন উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে বিএলআরআই।
এদিকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বলয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরের একটি শেড থেকে কীভাবে এই মোরগগুলো চুরি হলো, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সোমবার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সর্বত্র ব্যপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
৫০০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি নিরাপত্তা প্রহরী ও সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রাথমিকভাবে মোরগ উধাওকে চুরির ঘটনা বলে প্রচার করা হয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, মূল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই একে ‘চুরি’ বলে প্রচার করা হয়েছে।