Friday, 18 July, 2025

সর্বাধিক পঠিত

পেঁয়াজ ও আলুর বাজার স্থিতিশীল করতে বিকল্প উৎস থেকে আমদানির পরামর্শ


পেঁয়াজ ও আলু

বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ ও আলুর বিকল্প উৎস থেকে আমদানি এবং কার্যকর বাজার মনিটরিংয়ের ওপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পেঁয়াজ ও আলুর বাজার নিয়ে আয়োজিত অংশীজনদের এক সভায় তারা এ সুপারিশ করেন।

সভায় জানানো হয়, আলুর আমদানিতে শুল্ক মেয়াদ নভেম্বর থেকে আরও দুই মাস বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।

বাণিজ্যসচিব মোহা. সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন
অসময়ে তরমুজ চাষে সুবর্ণচরের আবুল বাসারের বাজিমাত!

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় অসময়ে তরমুজ চাষ করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক মো. আবুল বাসার। বর্ষাকালে সফলভাবে তরমুজ উৎপাদন করে Read more

বন্যা পরবর্তী মাছ চাষিদের করণীয়

বন্যা মাছ চাষিদের জন্য একটি মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাছ চাষে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে Read more

সংকটের আশঙ্কা

সভায় বলা হয়, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর আলুর বাজারে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে নতুন আলু বাজারে আসলেও উচ্চমূল্যের কারণে তা সাময়িক সমাধান দিতে পারে। এ অবস্থায় সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া, সঠিক তথ্যের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে পেঁয়াজ ও আলুর সঠিক তথ্য নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পেঁয়াজ সংরক্ষণে নতুন প্রকল্প

পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য সরকারি হিমাগার নির্মাণে একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে কম সুদে ঋণ ও জমি দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ভারতীয় বাজারের প্রভাব

ট্যারিফ কমিশনের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়, পেঁয়াজ ও আলুর অন্যতম উৎস ভারত। সেখানে মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও প্রভাব পড়ছে।

আমদানি পরিসংখ্যান

২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলু আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৬৮ টন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৫৬ হাজার ৭৬৩ টন, যা মূলত ভারত থেকে এসেছে।

পেঁয়াজের ক্ষেত্রে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭০ টন। চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৫২ টন। এই পেঁয়াজ ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিসর, চীন ও মিয়ানমার থেকে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পেঁয়াজ ও আলুর বাজারে আরও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

0 comments on “পেঁয়াজ ও আলুর বাজার স্থিতিশীল করতে বিকল্প উৎস থেকে আমদানির পরামর্শ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ