Friday, 21 November, 2025

ঘন কুয়াশার কারনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকেরা


কুয়াশায় ফসলের ক্ষতি

উত্তরের জেলাগুলোতে ঘনকুয়াশায় কৃষি খেতে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। আলু, মরিচ, পিঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এসব ফসল কুকড়ে যাচ্ছে। বাগানের চা পাতাও কুকড়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন চাষিরা। কুয়াশায় সৃষ্ট রোগ থেকে ফসল বাঁচাতে অতিরিক্ত সার কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে, বলছেন তারা। ফলে ফসল আবাদে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।

যদিও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, শীতকালীন ফসলের জন্য এ শীত উপকারী। এ ছাড়া ঘনকুয়াশায় নানা রোগবালাই সৃষ্টি হলেও ফসল সজিব রাখতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নাইমুল হুদা জানান, শীতে শাকসবজি, গম, বাদামসহ অন্যান্য ফসল আবাদে খুবই উপকারী। তবে কিছু ফসলের জন্য কুয়াশা ক্ষতিকারক।

আরো পড়ুন
নবান্ন উৎসব ঘিরে বগুড়ার বাজারে নতুন আলু, দাম চড়া ৫০০ টাকা কেজি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বগুড়ার বাজারগুলোতে উঠেছে নতুন আলু। উৎসবের আমেজে এই আলুর চাহিদা এখন তুঙ্গে। তবে Read more

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: সময়সূচি প্রকাশ

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ: ২০২৬ সালের Read more

উত্তরের জেলাগুলোতে কয়েক দিন ধরেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডায় জনজীবন প্রায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে সবকিছু। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, হিমালয়ান হিমবায়ুর ফলে কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রার পারদ নিচের দিকে নামছে। ঘনকুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে থাকছে সবকিছু। সন্ধ্যা থেকেই কুয়াশা শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারদিকের পরিবেশ। তীব্র এ শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।

কৃষকরা বলছেন, তীব্র ঠান্ডায় হাত পা জড়ো হয়ে আসে। সময় মতো কাজে যেতে পারছে না তারা। গ্রামীণ এলাকায় খরখুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। দরিদ্র মানুষ রয়েছে শীতের কাপড়ের সংকটে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত নানা রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

0 comments on “ঘন কুয়াশার কারনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকেরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ