এগ্রোবিডি ডেস্কঃ বাংলাদেশে গত এক দশকে ফিরে এসেছে ২৩ প্রজাতির এবং বিলুপ্ত হয়েছে প্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ। প্রায় বিলুপ্তি’র মুখ থেকে ফিরে এসেছে এমন দেশি মাছের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে।
বাংলাদেশে গত এক দশকে মাছের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও’র ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই মূহুর্তে মিঠা পানির মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
ডিপার্টমেন্ট অফ ফিশারিজের হিসাবে দেখা গেছে বাংলাদেশে এখন প্রতি বছর প্রায় ৪৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপন্ন হচ্ছে।
ইলিশ মাছ উৎপাদন হার অন্য সব মাছের থেকে বেশি।
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘দ্য স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২০’ নামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাদু পানির মাছের উৎপাদন বাড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বছরে ৯ শতাংশ হারে বাড়ছে বাংলাদেশের মিঠা পানির মাছের উৎপাদন। এ হারে প্রথম স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ায় ১২ শতাংশ হারে উৎপাদন বাড়ছে মিঠা পানির মাছের।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ এর অনুসারে, মোট ২৩টি প্রজাতির মাছ পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে, এগুলো হচ্ছে—
১. পাবদা
২. গুলশা
৩. টেংরা
৪. শিং
৫. মাগুর
৬. গুজি আইড়
৭. চিতল
৮. ফলি
৯. মহাশোল
১০. বৈরালী
১১. রাজপুঁটি
১২. মেনি
১৩. বালাচাটা
১৪. গুতুম
১৫. কুঁচিয়া
১৬. ভাগনা
১৭. খলিশা
১৮. বাটা
১৯. দেশি সরপুঁটি
২০. কালিবাউশ
২১. কই
২২. গজার
২৩. গনিয়া
বাংলাদেশে দেশীয় মাছের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩০০। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হওয়া মাছের মধ্যে পুকুর ও ডোবার মত বদ্ধ জলাশয়ে ৫৭ শতাংশ মাছ উৎপাদন হচ্ছে।দেশে ৮ লাখ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়ে মাছ চাষ হয়।
মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেছেন, প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই ২৩টি প্রজাতির মাছকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এখন আরো ৭টি প্রজাতি নিয়ে গবেষণা চলছে।
তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এই মূহুর্তে ৮০০ হ্যাচারিতে মাছের পোনা চাষ করা হয়, ২০০৮ সালে দেশে হ্যাচারির সংখ্যা ছিল ২৫ টির মত।
বাংলাদেশে আরও গবেষনার প্রয়োজন যাতে একটি মাছ ও বিলুপ্ত না হয়।
প্রয়োজন হাওড় এবং প্রাকৃতিক জলাশয়ের সঠিক পরিচর্যা ও হস্তক্ষেপ।
তথ্য সুত্রঃ বিবিসি