মাগুরায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ইতিমধ্যে জমি থেকে ধান কেটে ফেলেছেন। এখন তারা মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে মাগুরা জেলায়। এতে আবাদি, অনাবাদি জমিতে আমনের চাষ বৃদ্ধিতে ধানের ফলন ও বেড়েছে কয়েক গুণ। মাগুরা জেলায় সময়মতো রোদ-বৃষ্টি থাকার কারণে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে মনে করেন সকলে।
পর্যাপ্ত বৃষ্টির কারণে ফলন ভালো হয়েছে
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় রোপা আমন এর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৬৫৫ হেক্টর জমিতে।
এবং এ অঞ্চলে ৯৮৯২০ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক।
তিনি বলেন, ৬১হাজার ৪শত ৬৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
সেখানে এ মৌসুমে ৬১ হাজার ৪শত ৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে।
এর মধ্যে হাইব্রিড ধানের আবাদ হয়েছে ১০০৩০ হেক্টর জমিতে।
মাগুরা সদর উপজেলার কৃষক টিপু শিকদার। তিনি বলেন, এবার বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছেন ১৫ বিঘা জমিতে।
প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হবার কারণে ফলনও ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন যদি বাজারে ন্যায্যমূল্য পান তাহলে ধানের ভর্তুকি দিতে হবে না।
একই উপজেলার শ্রীকুন্ঠি গ্রামের কৃষক আকিদুল শেখ। তিনি বলেন, এ বছর আমন ধানের ফলন অন্য বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। সঠিক বাজারমূল্য পাবার আশা করেন তিনি।
মাগুরা পৌরসভার দুই নং ওয়ার্ড ভায়না দক্ষিণ পাড়ার কৃষক সোহেল মিয়া।
তিনি জানান, এবছর আমন ধানের চাষ করেছেন চার বিঘা জমিতে।
জমির ধান ভালো হয়েছে, সোনালি ধান পেয়ে তিনি খুশি।
পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়েছে অন্য বছরের তুলনায়।
এ কারণে এ বছর ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান।
মাগুরা জেলা শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার কৃষক হাফিজার। তিনি জানান, বর্তমান বাজারে ধানের দামে কৃষক লাভবান হবে না।
তথ্য অনুসারে, মাগুরা জেলায় ধান কাটার ২৬টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন রয়েছে।
এছাড়া রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ৪টি, রিপার ৩৩টি।
এতে করে ধান কাটা সম্ভব হবে শতকরা তিন ভাগ খরচ সাশ্রয় করে।
প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা বলেন, চার হাজার টাকায় ভাড়া করে মেশিন নিতে হয়।
এতে এক একর জমির ধান কাটা যায় এই মেশিনে।
ফলে ধান উৎপাদনে খরচ এবং সময় কিছুটা লাঘব হয় বলে তারা মনে করেন।