দেশজুড়ে প্রচণ্ড রকমের শীত পড়তে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে শৈত্য প্রবাহ, যার প্রকোপ সারা দেশ জুড়ে। সাধারণভাবে হিমেল হাওয়া মানুষ সহ্য করতে পারে না। এরকম হিমেল হাওয়া তে হাঁস-মুরগিও কাবু হয়ে যায়। নষ্ট হতে পারে চাষের বীজতলা। অন্যদিকে একই সাথে মাছের খামারেও শীতে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। আবহাওয়া অধিদপ্তর এর তথ্য বিশ্লেষণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তাই তারা প্রাণীদের যত্নে কৃষকদের বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে। তাই কিভাবে শীতে মাছ, হাস-মুরগীর খামার এর যত্ন নিতে হয় তা জেনে নিতে হবে।
প্রতিনিয়ত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র থেকে জানা যায়, এই শীতে বিভিন্ন রোগে হাঁস-মুরগি আক্রান্ত হতে পারে।
তাই প্রতিনিয়ত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
হাঁস মুরগীর এক সপ্তাহের বাচ্চাকে রানিক্ষেত রোগের টিকা দিতে হবে।
সেই সাথে দুই সপ্তাহের বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা দিতে হবে।
হাঁস-মুরগির থাকার জায়গা থাকতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
প্রতি সপ্তাহে দুদিন হাঁস মুরগীর খামার পরিষ্কার করতে হবে।
খুপরি বা খোয়াড়ের ভেতরে যাতে ঠান্ডা বাতাস না ঢুকতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
তার জন্য খামারের চারপাশে দিতে হবে চটের বস্তা বা প্লাস্টিকের পর্দা।
মুরগির খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর এক থেকে দুই ঘণ্টা বাল্ব জ্বালিয়ে রাখতে হবে।
এতে খামারের ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
সেই সাথে হাঁস মুরগীর রোগ বালাই কম হবে।
যত্ন নিতে হবে মাছের পুকুরের
অন্যদিকে যত্ন নিতে হবে মাছের পুকুরের।
শীতের সময় পুকুরের পানিতে অক্সিজেন কমে যেতে পারে।
এক্ষেত্রে পিএইচ বা পানিতে দ্রবীভূত হাইড্রোজেন আয়নের সক্রিয়তার পরিমাপ করতে হবে প্রতিনিয়ত।
এই পরিমাপ দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
পুকুরে জমতে পারে কচুরিপানা। তাই পুকুর থেকে এ সময় কচুরিপানা যথাযথভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
তাছাড় তুলে ফেলতে হবে পুকুরের তলদেশ থেকে আগাছা।
ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার সাথে সাথে পুকুরের পানি নেড়ে দিতে হবে।
এতে পুকুরের নিচে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাস সমূহ উন্মুক্ত হবে।
পাশাপাশি পুকুরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
রৌদ্রজ্জ্বল দিনে পুকুরে মাছের খাবার প্রয়োগ করতে হবে।
শীত কালে পুকুরের পাশে থাকা গাছপালার জন্য পুকুরে রৌদ্র আসতে পারেনা।
তাই এ সময় মাছের খামারের আশপাশে গাছপালার ডাল কেটে দিতে হবে।
এতে শীতকালে গাছের পাতা ঝরে পড়ে মাছের খামারের পানি নষ্ট করে দিতে পারে।