লটকনের চাষাবাদ নিয়ে কয়েক বছর আগেও কুলিয়ারচরের চাষিদের মধ্যে কোনো আগ্রহই ছিল না। এই সুস্বাদু ফলটির আবাদ শুধু নরসিংদী জেলাতে হত। প্রচুর ক্রেতা চাহিদাসহ অল্প খরচ আর স্বল্প পরিশ্রমে লাভজনক হওয়ায় লটকন চাষে আগ্রহ বাড়ছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার চাষিদের।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ আর সহযোগিতায় লাভজনক লটকন ফলটি চাষ বর্তমানে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বেড়েই চলছে।
লটকন অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি ফল। পরিপক্ব লটকনের প্রতি ১০০ গ্রাম শাঁসে আছে ১.৪২ গ্রাম আমিষ, ০.৪৫ গ্রাম চর্বি, ০.৯ গ্রাম মোট খনিজ পদার্থ, ০.৩ গ্রাম লৌহ এবং ৯১ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি। (লৌহ যা শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে)
এছাড়াও লটকনে রয়েছে ০.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১ এবং ০.১৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২। সাধারণত লটকনকে ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ ফল বলা হয়ে থাকে। ভিটামিন বি২ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যা শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। এই ফলে চর্বি অত্যন্ত কম থাকায় ও কোন শর্করা নেই বিধায় সকল বয়সের মানুষ নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
কুলিয়ারচর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ও সালুয়া ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই দুটি ইউনিয়নজুড়ে প্রতিটি বাড়ির বসতভিটার আঙিনাসহ প্রতিটি বাগানের গাছ লটকনের হলুদ রঙে রঙিন হয়ে গেছে। পুরো এলাকায় এখন গাছ ভর্তি লটকন। থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা পাকা পাকা লটকন সবার মন কাড়ছে।
লটকন চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়াতে কৃষকরা লটকন চাষে আগ্রহি হচ্ছে।এবং লটকন চাষ ছড়িয়ে পড়ছে সারদেশে।