মিয়ানমার থেকে রেকর্ডসংখ্যক ১৩৩৬ টি গবাদি পশু আমদানি করেছে ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ করিডরে গত মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনে ছয়টি পশুবোঝাই ট্রলারে গবাদি পশু আমদানি করা হয়। এর মধ্যে আজ বুধবার একদিনে এসেছে ৭৭১টি পশু। করোনাভাইরাসের সময়কালে এটি পশু আমদানির একদিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
করিডরের গবাদি পশু আমদানিকারকরা জানান, করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে দীর্ঘদিন ধরে পশু আমদানি কম ছিল। বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানির সুযোগ বন্ধ ছিল। মাঝেমধ্যে দুয়েকটি ট্রলারে দিনে ৫০ থেকে ১০০টি পশু আমদানি হতো। তবে নতুন করে মিয়ানমারের গরু-মহিষ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়াতে ব্যবসায়ীরা স্বস্তি প্রকাশ করছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ককর্মকর্তা গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য্য বলেন, আজ শাহপরীর দ্বীপ করিডরে ৭৭১টি গবাদি পশু আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ৭৪০টি গরু এবং ৩১টি মহিষ। প্রতিটি পশু থেকে সরকার ৫০০ টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েকমাস ধরে শাহপরীর দ্বীপ করিডরে গবাদি পশু আমদানি কম ছিল। গত দুই দিন ধরে যে হারে পশু আমদানি হচ্ছে তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে করিডর থেকে রাজস্ব আয়ের গতি বাড়বে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২৫ মে মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে গবাদি পশু আনা রোধে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট বিজিবির চৌকিসংলগ্ন এলাকায় এ করিডোর চালু করা হয়। আমদানিকৃত গবাদি পশু প্রথমে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে টেকনাফ সদরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকে রাজস্ব জমা এবং স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের অনুমতি নিয়েই পশুগুলো করডোর থেকে ছাড় পাওয়া যায়।