Monday, 28 April, 2025

সর্বাধিক পঠিত

বোরো মৌসুমে বাড়তি খরচ গুণছেন কুষ্টিয়ার কৃষকরা


বোরো মৌসুমে বাড়তি খরচ গুণথে হচ্ছে কৃষকদের

চলতি বোরো মৌসুমে বাড়তি খরচ গুণছেন কুষ্টিয়ার কৃষকেরা। গত বছরের তুলনায় এ বাড়তে খরচের পরিমান প্রায় ২৫ ভাগ বেশি। বাড়তি খরচের মূল কারণ হিসেবে কৃষকরা ডিজেল, সার, বীজ, কীটনাশকসহ শ্রমিকের মজুরি খরচ বেড়ে যাবার কথা উল্লেখ করেন। এ সকল কারণে কৃষি উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আর তাই চলতি বোরো মৌসুমে বাড়তি খরচ গুণছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

বিশেষ করে ডিজেলের দাম বাড়াতে খরচ বেড়ে গেছে

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে।

আরো পড়ুন
নান্দাইলে সবজি ক্ষেতে ঘাসের আক্রমণ: কৃষকের দুশ্চিন্তা

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে ব্যাপকভাবে ঘাস জন্মেছে, যা ফসলের ক্ষতি করছে। আগাছায় জমি ভরে যাওয়ায় কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। Read more

ফল ও সবজির অপচয় ঠেকাতে ‘বিএইউ-এডিআই হর্টিকুল’ হিমাগার প্রযুক্তি
ফল ও সবজির অপচয় ঠেকাতে ‘বিএইউ-এডিআই হর্টিকুল’ হিমাগার প্রযুক্তি

কৃষকের মাঠ থেকে ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে মলিন হয়ে যায় অনেক ফল-সবজি। কখনো পচে যায়, কখনো নষ্ট হয় উৎপাদনের প্রায় Read more

ইতিমধ্যে কৃষকেরা জমি তৈরি করে ফেলেছেন।

রোপণ করা হয়েছে চারাও।

তবে আবাদের শুরুতেই এ বছর কৃষকদের বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে।

এখানে যে কারণ বিশেষ ভাবে এসেছে তা হলো ডিজেল তেলের দাম বাড়ার কারণ।

এতে সেচ দিতে খরচ বেড়ে গেছে।

পাশাপাশি বীজ, সার ও শ্রমিক-সবমিলিয়ে গত বছরের তুলনায় প্রতি বিঘায় একজন কৃষকের অন্তত ২৫ ভাগ টাকা ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গত বারের তুলনায় এবার ধান বেশি পাওয়া যাবে।

তবে ধান বেশি হলেও সেটার উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। তাতে সেই লাভ আর কৃষকের থাকবে না।

সেই সব দিক হিসাবে চলতি মৌসুমে আবাদ কিছুটা কমে যাবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

এমন অবস্থায় সেচ খরচ বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন জেলার তিন উপজেলার কৃষকেরা।

গঙ্গা কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের পানির ওপর তারা তাদের সেচ নির্ভরতা বাড়িয়েছেন।

তারা জানান যদি পুরো মৌসুমে জিকের পানি পাওয়া যায় তবে তাঁদের সেচ খরচে অনেক সাশ্রয় হবে।

জিকের পানি দিয়ে সেচ দিতে পারলে এক বিঘা জমি আবাদ করতে কৃষকদের ব্যয় হবে মাত্র ২০০ টাকা।

সদর উপজেলার আলামপুর এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন।

তিনি বলেন, জিকের পানিতে ধানের আবাদ করে অনেক বেশি লাভ হয়।

যদিও শুষ্ক মৌসুমে অনেক সময় পদ্মায় পানি কমে যায়।

ফলে খালে আর তেমন পানি থাকে না।

সে সময়  জমিতে শ্যালোর পানির প্রয়োজন হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) বিষ্ণুপদ সাহা।

এ কর্মকর্তা জানান, বোরো আবাদে এবার কৃষকদের কিছুটা বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে গতবারের তুলনায়।

তারপরও ফলন ভালো হলে এবং দাম পেলে তাঁরা লাভবান হবেন বলে আশা করেন এ কর্মকর্তা।

0 comments on “বোরো মৌসুমে বাড়তি খরচ গুণছেন কুষ্টিয়ার কৃষকরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ