Saturday, 08 February, 2025

সর্বাধিক পঠিত

প্রতিকূল পরিবেশেও বোরোধান আবাদ বেড়েছে


প্রতিকূল পরিবেশেও বোরোধান আবাদ বেড়েছে বাগেরহাটে। জেলার রামপালে প্রতিকূল মাটি এবং তীব্র লবণাক্ততার মধ্যেও বোরো ধানের চাষ বেড়েছে। যার প্রধান কারণ হিসেবে লবণ সহিষ্ণু জাত, উন্নত বীজ, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সঠিক বীজ নির্বাচন ও সেচ ব্যবস্থা সহজীকরণ কে বলা হচ্ছে। মূলত এর ফলে এ উপজেলায় ধানের চাষ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ উপজেলার খাদ্যের উদ্বৃত্তের পরিমান প্রচুর।

জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদার বিপরীতে উদ্বৃত্ত খাদ্যের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন।

আরো পড়ুন
টবে স্কোয়াশ (Squash) চাষ পদ্ধতি

স্কোয়াশ একটি জনপ্রিয় সবজি, যা তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ে ফলন দেয়। টবে বা কনটেইনারে সহজেই স্কোয়াশ চাষ করা যায়। স্কোয়াশ (Squash) Read more

টিসিবির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে বিক্রির জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। Read more

রামপাল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার আওতায় ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে।

যাতে মোট বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৩৭৪ হেক্টর জমিতে।

কিন্তু ক্রমেই তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪৪০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

এর মধ্যে গৌরম্ভা ইউনিয়নে ৫৩৫ হেক্টর, উজলকুড় ইউনিয়নে ২২৮০ হেক্টর, বাইনতলা ইউনিয়নে ১০২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

অন্যদিকে  রামপাল সদর ইউনিয়নে ৪৩০ হেক্টর রাজনগর ইউনিয়নে ৬০ হেক্টর, হুড়কা ইউনিয়নে ৮ হেক্টর ও মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে ৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী মণ্ডল এর সাথে কথা হয়।

তিনি বলেন, নানাবিধ কারণেই এ বছর বোরো ধানের আবাদ বেড়েছে।

এর মধ্যে প্রধান কারণগুলোর অন্যতম হলো, গত বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন।

যার কারণে কৃষক আরও বেশি বোরো চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে।

সব ইউনিয়নেই এবার বোরোর চাষ সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

প্রণোদনা পুনর্বাসনের মাধ্যমে কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার সহায়তা দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি সকল কৃষককে হাইব্রিড ধানের বীজ প্রদান করা হয়েছে।

অন্যদিকে  কৃষি বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে প্রচুর কাজ করেছেন বলে জানান।

তারা কৃষকদের বোরো ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

লবণ সহিষ্ণু জাতের ধান ব্রি-৬৭ ও বিনা ধান ১০ জাত সরবরাহ এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে।

বীজ সঠিক সময়ে সরবরাহ করা গেছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের উপর আস্তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ন্যায্য মূল্য ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ইত্যাদি কারণে এবছর চাষ বেড়েছে বলে তিনি জানান।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, কৃষক যাতে বেশি করে ফলন বৃদ্ধি করতে পারেন সেজন্য সরকার সচেষ্ট।

সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন এর সাথে কথা হয়।

তিনি জানান, সরকারের দিক নির্দেশনায় তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।

বোরো আবাদ বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের চেষ্টা  করছেন তারা।

সার, বীজ ও কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

0 comments on “প্রতিকূল পরিবেশেও বোরোধান আবাদ বেড়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ