আমাদের দেশের প্রধান অর্থনীতি ও খাদ্য নির্ভরশীলতা এদেশের খেটে খাওয়া কৃষকদের উপর। পরিস্থিতি হোক বিপদসংকুল কিংবা সমূহ বিপদ। তবুও কৃষি ভিত্তিক মানুষগুলো আমাদের মুখে খাবার তুলে দিতে নেমে পড়েন কৃষিকাজে। বেচে থাকার তাগিদে খেটে চলেন প্রতিনিয়ত।
চলতি মরসুমের আমন চাষের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। একই ভাবে শুরু হয়েছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে। চাষিরা মাঠে নেমে পড়েছেন, শুরু করছেন চাষাবাদ। আপাতত প্রাথমিক পদক্ষেপ অনুসারে আইল-সাইড আইল কেটি চাষ উপযোগী করা হচ্ছে এসকল জমি। পাট কেটে প্রস্তুত করা হচ্ছে সেসকল জমি। জয়পুরহাটে আমন ধান চাষে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক।
পাঁচবিবি উপজেলায় এবছর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বন্যা হয়নি। তাই কৃষকরা আগে থাকতেই আমনের চারা রোপন করতে পারবেন বলে জানান। বর্তমানে তারা দোগছি রোপন করা নিয়ে ব্যস্ত। কৃষকেরা জানান একমাস আগেই তৈরি হয় বীজতলা, ছিটানো হয় বীজ। ফুট খানেক উচ্চতার হলে তা আরেকটি জমিতে রোপন করা হয়। এবং সর্বশেষ তা আবার তা আমনের জমিতে রোপন করা হয়, এই পদ্ধতির নামই দোগছি করা।
দোগছি করা হলে চারার দন্ড মোটা হয়, প্রতিটি চারা থেকে ৫-৬টা গাছ হয়। আর এ পদ্ধতির ফলে চারার সাশ্রয়, গোজ মোটা হয়। এতে ধানের রোগবালাই কম হবার সাথে সাথে ধানের শীষ লম্বা হয় আর ফলনও ভালো হয়।
এবছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় ১২শ হেক্টর জমিতে তৈরী করা হয়েছে বীজতলা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অবশ্য বলছেন সকল ধানের ক্ষেত্রে দোগছি করা যাবেনা, ধানের জীবনকালের উপর ব্যাপরটা নির্ভর করে। তবে বন্যাকবলিত এলাকায় এ পদ্ধতি প্রয়োগ করলে চারা সংকট কম হয় বলে তিনি মনে করেন।