মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পদন্নোতি হয়েছে। এতে তাদের দায়িত্ব আরও বেশি বেড়ে গেছে। তাই তাদেরকের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনবান্ধব মানসিকতা রাখতে হবে। জনবান্ধব মানসিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে তাদের। পদোন্নতি পাওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি এই নির্দেশ প্রদান করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
গত বুধবার সকালে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী এ নির্দেশ প্রদান করেন।
পদোন্নতি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা
এর আগে গত রোববার যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ৮৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। উক্ত ৮৯ জন কর্মকর্তাদের সরকার অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে। তাদের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এস এম ফেরদৌস আলমও রয়েছেন। অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী তাকে অভিনন্দন জানান।
এসময় মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, মন্ত্রণালয়ের অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সকলকে জনবান্ধব মানসিকতা ধারণ করতে হবে। যেন কোনো বিষয়ে নিজের কাজ অহেতুক ভাবে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে সতর্ক ভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
মন্ত্রী পরামর্শ দেন আইনের মধ্যে থেকে দাপ্তরিক কাজকে সহজ করার জন্য। একই সাথে মন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, জনবান্ধব মানসিকতা, স্বচ্ছতার সঙ্গে সকল প্রকার নথি ও কাজ নিষ্পত্তি করতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে আন্তরিকতা, সততা, নিষ্ঠা এবং অনুভূতিতে দেশপ্রেম রেখে সম্যক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
গতানুগতিক চাকরির মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই বলে জানান শ ম রেজাউল করিম। মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন যে, চাকরিতে সৃজনশীলতা দেখানোর মধ্যে অন্যরকম কৃতিত্ব আছে। সেই সাথে তিনি জানান সৃজনশীল ভাবে নথি নিষ্পত্তিতে ও ব্যবস্থাপনায় কৃতিত্ব আছে।
মন্ত্রি বলেন কাজের যে জায়গা আছে সে জায়গায় অহেতুক একটা প্রক্রিয়াকে জটিল করা যাবেনা বা জটিল করার প্রবণতা থাকা যাবেনা। এধরণের কাজ বা প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মো. তৌফিকুল আরিফ। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। এদের সাথে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।