Friday, 12 December, 2025

আগাম আলু চাষে লাভবান বগুড়ার কৃষক


আলুর বাজার দর

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সন্ন্যাসী ধোন্দাকোলা গ্রামের স্বপন সরকার। গত মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছিলেন। মৌসুমের শুরুর দিকে বাজার চাঙা ছিল। তাই খেতের আলু বিক্রি করে খরচ বাদে তাঁর লক্ষাধিক টাকা লাভ হয়েছিল। আগাম আলু চাষে লাভবান এই কৃষক। কেবল স্বপন সরকারই নন, আগাম আলু চাষে লাভবান হচ্ছেন আরও অনেকে।

তবে বাজারে এবার পুরোনো আলুর দর মন্দা।

অনেক কৃষক হিমাগারে আলু রেখে লোকসানে পড়েছেন।

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

তবু উপজেলাটিতে আগাম আলুর চাষে ঝুঁকেছেন অনেক কৃষক।

সম্প্রতি উপজেলার উথলি, সন্ন্যাসী ধোন্দাকোলা, নারায়ণপুর, এনায়েতপুর, গুজিয়া, উত্তর শ্যামপুর, মাঝপাড়া, রায়নগর, অনন্তবালাসহ বিভিন্ন এলাকায় আগাম আলু চাষ হচ্ছে।

সকল এলাকা ঘুরে আগাম আলু চাষে কৃষকদের ব্যস্ততা দেখা গেছে।

আগাম জাতের আমন ধান ছাড়াও খেত থেকে শীতকালীন সবজি তুলে সেখানে আলু লাগানোর জন্য জমি তৈরি করছেন।

সার ছিটাচ্ছেন কৃষকেরা।

বিভিন্ন জাতের আগাম আলু রোপণ করা হচ্ছে

দেশি পাকরি, গ্রানুলা, কার্ডিলালসহ নানা জাতের আলু জমিতে রোপণ করা হচ্ছে।

রোপণের ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে আগাম জাতের আলু খেত থেকে তুলে বিক্রি করা যায়।

গত মৌসুমে প্রতি মণ ১২০০ টাকা দরে আগাম আলুর দাম ছিল।

কেজি প্রতি দাম ছিল ১৮ টাকা।

অনেক কৃষক এই আলু তখন বিক্রি করেনি বরং হিমাগারে রেখেছিলেন।

কিন্তু পরে সে আলু প্রতি কেজি ১১ টাকায় বিক্রি করেন কৃষকেরা।

নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক হরিশঙ্কর সরকার জানান আলু চাষের জন্য শিবগঞ্জের মাটি খুবই উপযোগী।

এ ছাড়া খুব লাভজনক আগাম আলুর চাষ।

তাই হিমাগারে রেখে লোকসান হলেও আগাম আলুর চাষ করছেন।

এ আলু খেত থেকে তোলার পরপরই বিক্রি করা যায়, তাই লাভ পাওয়া যায়।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছিল গত মৌসুমে।

এর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন আলু ৩৬টি হিমাগারে সংরক্ষণ হয়েছিল।

হিমাগারে আলু রেখে কৃষকেরা অর্ধেক টাকাও ফেরত পাননি।

আগাম আলু চাষের ধুম পড়েছে লাভের আশায় এবারও শিবগঞ্জ, বগুড়া সদর, গাবতলী, নন্দীগ্রামসহ কয়েকটি উপজেলায়।

চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে ১৩ লাখ মেট্রিক টন আলু চাষের।

এর মধ্যে ১২ হাজার মেট্রিক টন আগাম আলুর লক্ষ্যমাত্রা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দুলাল হোসেন।

তিনি বলেন, এবার সবজির ভালো দাম মিলছে।

আগাম আলুর দাম ভালো হতে পারে মিলতে পারে।

পুরোনো আলুর দাম কম হলেও, লোকসানের তেমন শঙ্কা নেই আগাম আবাদ করা নতুন আলুতে।

0 comments on “আগাম আলু চাষে লাভবান বগুড়ার কৃষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ