Wednesday, 03 September, 2025

স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের ধান কাটলেন বিভিন্ন পেশাজীবীরা


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কৃষকের বোরো ধান কাটলেন সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, ছাত্র, জনতা ও রাজনৈতিক কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার হাইল হাওরের বরুনা গ্রামে এই ধান কাটা হয়।

জানা যায়, ধান কাটায় যোগ দেন উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের ১৯ জন কর্মকর্তা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষক ও দপ্তরি, ৩০ জন ছাত্রলীগ কর্মী, সবুজবাগ ম্যারাথন গ্রুপের ১২ সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় চা সংসদের ৯ জন, উদ্ধীপ্ত তারুন্য সংঘঠনের ৭ জন ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।

আরো পড়ুন
ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়: খামারি ও কৃষকের জন্য জরুরি নির্দেশিকা

ক্ষুরা রোগ বা ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (FMD) একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও শুকরের Read more

কাজু ও কফি: যেভাবে বদলে যাচ্ছে পাহাড়ের অর্থনীতি

পাহাড়ের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কাজু বাদাম ও কফি চাষ। একসময় আমদানিনির্ভর এই দুটি ফসল এখন দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ Read more

জানা যায়, চলতি সপ্তাহে সিলেট অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গতকাল বুধবার (২১ এপ্রিল) উপজেলা প্রশাসনের ফেইসবুক পেইজে স্বেচ্ছাশ্রমে হাওরে কৃষকের ধান কেটে দেয়ার আহব্বান জানান।

তার ডাকেই সাড়া দিয়ে সবাই মিলে ধান কাটা উৎসবে নেমে পরেন। তারা বরুনা গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়ার আড়াই কেয়ার ও জসিম উদ্দিনের দেড় কেয়ার ধান কেটে দেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি জানান, এবছর উপজেলায় ৯৬৫২ হেক্টর জমিতে বোর ধানের আবাদ হয়েছে। এরমধ্য ২৭২৭ হেক্টর জমি হাওরের নিম্নাঞ্চলে। ইতিমধ্য ২০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আরঅ ২০ শতাংশ ধান কেটে ফেলতে পারলে আমাদের কোন প্রাকৃতিক ঝুঁকি থাকবে না।

কৃষক রুবেল মিয়া জানান, তিনি শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারছিলেন না। এই ধান কাটাতে তার পাঁচ হাজার টাকা খরচ হতো।

উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা আবহাওয়া অফিস থেকে তথ্য পেলাম সিলেট অঞ্চলে ২১ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে হাওর অঞ্চলে বর্ন্যা হয়ে যেতে পারে।
ইতিমধ্যে হাওর অঞ্চলে ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেছে। যদি বন্যা হয় তাহলে সব ধান পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে কৃষকদের যেমন ক্ষতি হবে, ঠিক তেমনি আমাদেরও ক্ষতি হবে। কারন এই ধান থেকে চাল হয়েই আমাদের আহার হয়। মূলত এজন্যই আমরা সেচ্চাশ্রমে কৃষকের ধান কেটে দেয়ার উদ্দ্যোগ নেই।

0 comments on “স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের ধান কাটলেন বিভিন্ন পেশাজীবীরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ