রংপুরে চলতি মৌসুমে সূর্যমুখী ও খেসারী ডাল চাষে ব্যাপক সফলতা এসেছে। সূর্যমুখী চাষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৩০ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও খেসারী ডালে ৩৭২ শতাংশ বেশি আবাদ হয়েছে।
এছাড়াও ধনিয়াপাতা, কলোজিরা, মসুরডাল, ছোলা, শাকসবজি, মিষ্টি আলু ও গম লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। এসব ফসলের দামও ভাল পাচ্ছেন কৃষকরা।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় ধনিয়াপাতার আবাদের ৯৫০ হেক্টরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার ৩১৬ মেট্রিকটন ধরা হলেও তা ১০০ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি আবাদ হয়েছে।
কালোজিরা ৬২ হেক্টরে ৬২ মেটিক টন উৎপাদন হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।
মসুরের ডাল ১ হাজার ৪০ হেক্টরে ১ হাজার ৩৩১ মেটিক টন উৎপাদনের হয়েছে। এটিও ১৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি আবাদ হয়েছে।
খেসারীর ডাল ৫৫৫ হেক্টরে ৭৭৫ দশমিক ৩৫ মেটিক টন উৎপাদন হয়েছে। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৭২ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি।
ছোলা ৪০ হেক্টরে ৪৭ মেট্রিকটন উৎপাদন যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১০ শতাংশ বেশি।
শাকসবজি ৩৮ হাজার ৩৫০ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৩৬০ মেট্রিকটন। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০৪ শতাংশ বেশি।
মিষ্টি আলু ১ হাজার ৬৮৫ হেক্টরে ৩৪ হাজার ৬৭০ মেট্রিকন টন উৎপাদন হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গম ১৯ হাজার ৫৫০ হেক্টরে ৯৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিকটন উৎপাদন হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০৩ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকার ডিএই অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আবু সায়েম জানান, ‘সরকার এসব ফসলে ভতুর্কি ও প্রণোদনা দেওয়ায় কৃষকরা উৎসাহিত হয়েছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফসল উৎপাদন হয়েছে। এছাড়াও ওইসব ফসলের চাহিদা ও বাজারে উচ্চমূল্য থাকায় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সূর্যমুখী ২৬৫ হেক্টরে ৫৫৫ মেটিকটন উৎপাদন হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার সর্বোচ্চ ৫৩০ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি।’