জবা ফুল বাংলাদেশে বহুল চাষ কৃত একটি ফুলের নাম। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ও রঙের জবা গাছ পাওয়া যায় যা দেখতেও খুব সুন্দর। তবে যিনি জবা ফুলের চাষ করেন তিনি কিন্তু বিভিন্ন সমস্যাই ভুগেন। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা হল কুঁড়ি ঝরে যাওয়া।
কুঁড়ি ঝরে যাওয়া সাধারণত দু-তিনটি কারনে হয়ে থাকে।
এক- পাতা হলুদ হয়ে কুঁড়ি ঝরে যাওয়া,
দুই – পাতা, গাছ, কুঁড়ি সবই সুস্থ্য আছে অথচ কুঁড়ি ঝরে যাচ্ছে,
আর একটা হয় মিলিবাগ লাগলে কুঁড়ি ঝরে যায়।
পাতা হলুদ হয়ে কুঁড়ি ঝরে যাওয়া সাধারণত দুটি কারনে হয়ে থাকে
এক- গাছে খাবারের অভাব হলে এবং
দুই – মাটি যদি সবসময় স্যাঁতসেঁতে বা ভিজে হয়ে থাকে তাহলে। খাবার কম হলে আপনাকে গাছকে খাবার দিতে হবে।
আর যদি মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকে তখন আপনাকে আপনার টবের মাটি পরীক্ষা করে জল দিতে হবে আর টবের ড্রেনেজ সিস্টেম ভালো করতে হবে।
আর একটা মূল কারণে গাছ, পাতা ও কুঁড়ি সবল থাকে তবু কুঁড়ি ঝরে যায় সেটা হল কুঁড়ির ভিতরে ঢুকে এক ধরনের পোকা ডিম পাড়ে। সেই ডিম থেকে লার্ভা বের হয়ে কুঁড়ির ভিতরকে খেয়ে ফেলে, ফলে বাইরে থেকে দেখে কুঁড়ি ভালো মনে হলেও ঝরে যায়।
সবল কুঁড়ি ঝরলে তাকে ভেঙে দেখতে হবে তার ভিতর ছোট ছোট লার্ভা আছে কি না। যদি থাকে তখন ব্যবস্থা নিতে হবে। তখন কিন্তু উপর থেকে ওষুধ স্প্রে করলে এই পোকা যাবে না। কারন পোকা তো কুঁড়ির ভিতরে আছে।
সেক্ষেত্রে সিস্টেমিক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে যা গাছের জলের মাধ্যমে গাছের শিকড় দিয়ে শোষিত হয়ে কুঁড়িতে পৌঁছবে। IMIDACLOPRID গ্রুপের ওষুধ এক লিটার জলে ৮/১০ ফোঁটা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে গাছের মাটিতে দিতে হবে ও পাতায় স্প্রে করে দিতে হবে। এটা ১০ দিন পরপর তিন বার দিবেন।
তাহলে পোকার কারণে কুঁড়ি আর ঝরবে না। এই ওষুধে মাকড়সা অন্যান্য মাছিও আর বসবে না। আমি অবশ্য আমাদের ভারতের ওষুধ দেখে বললাম। বাংলাদেশে এধরনের ওষুধের ব্যাপার আমার জানা নেই। আমার বাংলাদেশের বন্ধুরা ভাল বলতে পারবেন।