২১ বছরে পদার্পণ করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)। ২০০০ সালের ৮ জুলাই পটুয়াখালী কৃষি কলেজের অবকাঠামোতে পবিপ্রবির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার সময়ে তিনটি অনুষদে ছাত্রছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। আর বর্তমানে আটটি অনুষদের অধীনে (কৃষি, সিএসই, বিএএম, মাৎস্যবিজ্ঞান, অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মডিসিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স ও ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) মোট ৯টি ডিগ্রি প্রদান করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএসই অনুষদ এবং ব্যবসা ও বিপণন ব্যবস্থাপনার জন্য বিএএম অনুষদ কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়নে বর্তমানে ৮৪ টি গুবেষণা প্রকল্প চলছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকতর উন্নয়নের জন্য প্রায় সাড়ে চারশ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পাশাপাশি কুয়াকাটায় মেরিন ফিশারিজ ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০০০ সালের ৮ জুলাই তদানীন্তন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিপ্রবি প্রতিষ্ঠা করায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির বাস্তবায়ন কমিটির তৎকালীন আহ্বায়ক ও সাবেক রিজেন্ট বোর্ড সদস্য হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিরোধী দলে থাকাকালীন দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দুমকী সফরে এসে বিশ্ববিদ্যালয় ও উপজেলার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক নজির।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন কৃষি কলেজের শিক্ষার্থী ও দুমকী উপজেলাবাসীর ত্যাগ অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আশা করি পবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ ও গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি আগামীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে।