নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় নিউটন কচু চাষে ভাগ্য বদলেছেন কৃষক আল আমীন। তার বাড়ি উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামে। মাত্র ১৬ শতাংশ জমিতে কচু চাষ করে লক্ষাধিক টাকা লাভ করার প্রত্যাশা তার।
জানা যায়, এটি মূলত লবণাক্ত অঞ্চলের ফসল হলেও বর্তমানে এটি উপজেলার কৃষকদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এই কচু চাষ করে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করে অনেক মুনাফা অর্জন করাও সম্ভব।
আল আমীন জানান, প্রথমে জমি তৈরি করতে হয়। এর জন্য ৭-৮ ইঞ্চি ডিপ করে চাষ দিতে হয়। তারপর জমিতে ভার্মি কম্পোস্ট, খৈল ও জৈব সার দিয়ে ১ সপ্তাহ পচাতে হয়। এরপর এখানে চারা রোপণ করতে হয়। সপ্তাহে একদিন পানি সেচ দিতে হয় এবং চাষকালীন মাঝামাঝি একবার আগাছা পরিস্কার করতে হয়। রোপণ করার ৭০ দিনের মাথায় কচুর লতি বিক্রি করা যায়।
আল আমীনের বাবা মো. আব্দুল জব্বার জানান, আমরা নিউটন কচু লাগানোর পর বেশ কয়েকবার লতি বিক্রি করেছি। দাম বেশ ভালো পেয়েছি। প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রিয় করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা আছে সামনে বেশি জমিতে চাষ করার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. ফৌজিয়া ফেরদৌস বলেন, এই কচুর সবকিছুই সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এক সময় মানুষ রাত কানা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় বেশি বেশি করে কচু খেত। কিন্তু সেসব কচুর চেয়ে নিউটন কচু আরো বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।