অবৈধভাবে বাওড় ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের মৎস্যজীবীরা।
শনিবার (১০ জুলাই) সকালে মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর গ্রামে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন তারা।
এ সময় মহেশপুরের কুসুমপুর, স্বরূপপুর, পিপুলবাড়িয়া চুয়াডাঙ্গার বেনীপুর ও ধান্যখোলা গ্রামের ১১৫টি পরিবারের কয়েক’শ সদস্য মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
মৎস্যজীবী আলা হোসেন বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন এক মাসের খাস আদায়ের জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছে তার প্রতিবাদে আমরা হাইকোর্টে রিট করেছি। চলতি মাসের ৭ তারিখে আমার একমাসের জন্য স্থিতাবস্থা জারির রায় পেয়েছি।
কর্মসূচি থেকে বেনিপুর বাওর ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক পুর্ণ চন্দ্র হালদার বলেন, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর বাওড়টি আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) ও সরকারের মাধ্যমে ৫০ বছরের মধ্যে চুক্তি হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে বাওড়টিতে গত ৩০ বছর ঝিনাইদহের মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ৫টি গ্রামের মৎস্যজীবীরা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
কিন্তু হঠাৎ করে মৎস্যজীবীদের না জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ৫০ বছরের ওই চুক্তি অগ্রাহ্য করে খাস আদায়ের জন্য একটি সমিতিকে এক মাসের জন্য দায়িত্ব দেয়। এরপর থেকেই এতে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই ১১৫টি পরিবার। তাই দ্রুত বাওড়টি মৎস্যজীবীদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম বলেন, যারা মানববন্ধন করছে তারা অন্যায় করছে। সরকার রাজস্ব আদায় করছে তারা সরকারের কাজে বাঁধা দিচ্ছে। ইফাদের সাথে চুক্তি ছিল তা অনেক আগেই হাইকোর্ট বাতিল করে দিয়েছে।