Saturday, 18 October, 2025

ছাতকে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ


ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ একটি জনপ্রিয় সবজি। দেশে বাণিজ্যিকভাবে এই সবজির চাষ হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে। তবে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদিত ক্যাপসিক্যাম বাজার নিশ্চিত করার দাবি কৃষি উদ্যোক্তাদের।

ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর গ্রামের ছদরুল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি ফলের ওজনও ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় দামও ভালো। সফলতা দেখে অনেকেই ক্যাপসিকাম চাষে এগিয়ে আসছেন।

তিনি আরও জানান, ক্যাপসিকামের বীজ বপন করার এক মাস পর চারা তৈরি হয়। চারা উপযুক্ত হওয়ার পর জমি তৈরি করতে হয়। চারা রোপণের আগে পলিথিন দিয়ে বেড তৈরি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রেখে গাছের চারা বপন করতে হয়।

আরো পড়ুন
কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং আবাদি Read more

১ লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনছে সরকার, মোট ব্যয় ৭২২ কোটি টাকা
এক লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় চুক্তিতে কানাডা, মরক্কো এবং উন্মুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে সৌদি আরব ও কাফকো Read more

বীজ বপনের পর গাছগুলো নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। গাছ লাগানোর ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করে। ফুল আসার ২৫ দিনের মধ্যে ফল বিক্রির উপযুক্ত হয়। কয়েক মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া যায় এ গাছ থেকে।

ছাতক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান বলেন, ছাতকে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু হয়েছে। মাঠ পরিদর্শন করে এসেছি। এটি লাভজনক চাষ। চাহিদাও রয়েছে বাজারে। উপজেলাব্যাপী ক্যাপসিকাম চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কাজ করছে।

তিনি বলেন, বীজ রোপণের পর থেকেই ক্যাপসিকাম চাষিকে নানাভাবে সহায়তা করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার অন্যান্য কৃষককেও এ চাষে আগ্রহী করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া চাষ বাড়াতে ও বাজারজাত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

0 comments on “ছাতকে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ