Thursday, 24 April, 2025

সর্বাধিক পঠিত

ছাতকে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ


ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ একটি জনপ্রিয় সবজি। দেশে বাণিজ্যিকভাবে এই সবজির চাষ হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে। তবে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদিত ক্যাপসিক্যাম বাজার নিশ্চিত করার দাবি কৃষি উদ্যোক্তাদের।

ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর গ্রামের ছদরুল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি ফলের ওজনও ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় দামও ভালো। সফলতা দেখে অনেকেই ক্যাপসিকাম চাষে এগিয়ে আসছেন।

তিনি আরও জানান, ক্যাপসিকামের বীজ বপন করার এক মাস পর চারা তৈরি হয়। চারা উপযুক্ত হওয়ার পর জমি তৈরি করতে হয়। চারা রোপণের আগে পলিথিন দিয়ে বেড তৈরি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রেখে গাছের চারা বপন করতে হয়।

আরো পড়ুন
কক্সবাজার উপকূলে ১০ হাজারের বেশি কচ্ছপের বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত

চলতি মৌসুমে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উপকূলে কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ ও বাচ্চা প্রজননে তৎপরতা বেড়েছে। বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বেসরকারি সংস্থা Read more

হালদা নদীতে মা মাছের আগমন, ডিম আহরণে প্রস্তুতি তুঙ্গে
হালদার মা মাছ

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছের আনাগোনা শুরু হয়েছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুরুতে এই নদীতে ডিম Read more

বীজ বপনের পর গাছগুলো নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। গাছ লাগানোর ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করে। ফুল আসার ২৫ দিনের মধ্যে ফল বিক্রির উপযুক্ত হয়। কয়েক মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া যায় এ গাছ থেকে।

ছাতক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান বলেন, ছাতকে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু হয়েছে। মাঠ পরিদর্শন করে এসেছি। এটি লাভজনক চাষ। চাহিদাও রয়েছে বাজারে। উপজেলাব্যাপী ক্যাপসিকাম চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কাজ করছে।

তিনি বলেন, বীজ রোপণের পর থেকেই ক্যাপসিকাম চাষিকে নানাভাবে সহায়তা করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার অন্যান্য কৃষককেও এ চাষে আগ্রহী করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া চাষ বাড়াতে ও বাজারজাত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

0 comments on “ছাতকে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ