প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত হাওড় ও উপকূলীয় অঞ্চলের মহিষের উৎপাদন বৃদ্বির জাত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়।
এ প্রকল্পের আওতায় বরগুনার তালতলী উপজেলায় মহিষ খামার স্থাপনের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচনের জন্য কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়।
প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক, উৎপাদন মো. নজরুল ইসলামকে সভাপতি এবং সহকারী পরিচালক এ বি. এম. সালাহ উদ্দীনকে সদস্য সচিব করে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য গঠিত কমিটি সরেজমিনে প্রস্তাবিত স্থানসমূহ ঘুরে দেখেন। প্রস্তাবিত স্থানের ভৌগলিক অবস্থা, যোগাযোগ ব্যাবস্থা, নদী ও সড়ক পদের সাথে দূরত্বসহ প্রতিবেদন নভেম্বর মাসে জমা দেন।
বরগুনা সদর উপজেলার বানাই, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী চর এবং তালতলী উপজেলার শারীকখালী ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামের ৩টি স্থান পরিদর্শন করে তালতলীর শারীকখালী ইউনিয়নের কড়ইবাড়িয়া মৌজায় স্থান প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়। ১৮ আগস্ট জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুল ইসলাম জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মহিষ উৎপাদন খামার স্থাপনের জন্য সুপারিশসহ প্রস্তাবনা পাঠান।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এখানে খামার করা হলে, সহজে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে, যাতায়াতের জন্য পাকা সড়ক রয়েছে। প্রয়োজনীয় ৫০ একর জমিও সেখানে রয়েছে। জমি অধিগ্রহণ করে দ্রুত এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জাতীয় সংসদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বরগুনা-১ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য আ্যাডঃ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ২০২১ সালের মধ্য তালতলীতে মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে খামারের কার্যক্রম শুরু হবে আশা করছি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, মহিষের খামারের স্থান নির্ধারণ করে, সংসদ সদস্যর মতামতের ভিত্তিতে আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি, চলতি বছরে কাজ শুরু হবে।
এছাড়াও প্রকল্পটির আওতায় দেশের সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিরাজগঞ্জ, ভোলা ও নোয়াখালী জেলায় মহিষ খামার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।