বাংলাদেশে প্রচলিত বার্ষিক ফসলধারাগুলোর মধ্যে দ্বি-ফসলি আমন-বোরোর মধ্যবর্তী সময় ৬০ দিনেরও কম। এই স্বল্প সময়ে অন্য কোনো ফসল চাষের জন্য যথেষ্ট না হওয়ায় কৃষকরা জমি পতিত রাখেন। তবে স্বল্পকালীন আগাম রোপা আমন (যেমন বিনাধান-৭) এবং নাবী বোরো ধান (যেমন বিনাধান-১৪) চাষ করে আমন-বোরোর মাঝের পতিত সময়কাল বাড়িয়ে ৭০-১০০ দিন করা সম্ভব। এই সময়ে শিম জাতীয় ফসল যেমন মটরশুটি, লিগনোসাস শিম, ঝাড় শিম, ফেলন, সয়াবিন এবং মুগ আবাদ করলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।
শনিবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
সাংবাদিক সম্মেলনে ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণা কার্যক্রমের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকিরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী ফরহাদ কাদির এবং সহযোগী গবেষক ড. মো. নেছার উদ্দীন।
গবেষকদল আরও জানান, শিম জাতীয় গাছগুলো থেকে বীজ সংগ্রহ করে গাছগুলোর অবশিষ্ট অংশ জমিতে সবুজ সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে জমির জৈব উপাদান ও পুষ্টিগুন বেড়ে যায়। ফলে জমিতে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন কম হবে। পাশাপাশি দুই ফসলের জায়গায় তিন ফসল পেয়ে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
তারা জানান, অনুজীব সারের প্রয়োগসহ মটরশুটি ও ঝাড়শিমের চাষ কৃষকের জন্য বেশি লাভজনক হবে। এই উৎপাদন ব্যবস্থায় শিম পরবর্তী বোরো ধানের উৎপাদন শতকরা ১৫-২০ ভাগ পর্যন্ত বেশি পাওয়া গেছে। এই গবেষণা অল্পপরিসরে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে তবে বৃহত্তর পরিসরে প্রস্তাবিত ফসলধারাটির পরীক্ষণ প্রয়োজন বলে মনে করেন গবেষকদল।