সেচের পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব। এ ব্যপারে কোনরকম গাফিলতির প্রমাণ পেলে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি হুশিয়ারি করে বলেন, সেচের পানি না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যার বিষয়ে পুলিশও তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে তারা ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সচিব একথা জানান।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচ্য সভাতে কৃষিসচিব এসকল কথা বলেন।
এ সভাতে আরও জানানো হয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কোন রকম পরিকল্পনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের আপাতত নেই।
সেচের পানি না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যার বিষয়টি মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সাথে নিয়েছে।
এ নিয়ে তদন্ত কমিটি রাজশাহীতে গিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তকাজ শুরু করেছে।
কৃষক আত্ম্যহত্যার ঘটনায় সরেজমিন তদন্ত করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
কমিটিকে সেচের পানি সময়মতো না পাবার কারণ উদ্ঘাটন করতে বলা হয়েছে।
সেই সাথে কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম জানান, খবরটি জানার সাথে সাথেই তারা খোঁজ খবর নিয়েছেন।
সচিব জানান যে, তিনি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
পেঁয়াজ আমদানির প্রসঙ্গ এলে কৃষিসচিব তাতে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় অনেক কিছু চিন্তা করে থাকেন।
কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি তারা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকেন।
এখন পর্যন্ত কৃষক বাজারে পেঁয়াজের ভালো দাম পাচ্ছেন বলে তারা জেনেছেন।
এদিকে সামনেই পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে।
এই সময়ে পেঁয়াজের দাম যেন স্থিতিশীল থাকে সেটিও তাদের বিবেচনায় রেখেছেন।
মন্ত্রণালয় খুব নিবিড়ভাবে বাজার মনিটর করছেন বলেও জানান সচিব।
কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থরক্ষায় বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সভায় একটি পরিসংখ্যান জানানো হয়।
চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন রয়েছে ৭৭ টি প্রকল্প।
প্রকল্প গুলোর জন্য মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩১২৪ কোটি টাকা।
ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত এ সকল প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ।
এই অগ্রগতির পরিমাণ জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।
এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ শতাংশ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকেরা।