সিলেট জেলায় সপ্তাহজুড়ে চলছে পাহাড়ি ঢল। সেইসাথে টানা বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে অব্যাহতভাবে। এর ফলে সিলেটে নতুন করে আরও শতাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলের খেত এবং পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। সিলেট প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
প্লাবিত হয়ে গেছে জেলার বিভিন্ন এলাকা
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, পানিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে সিলেট জেলায়।
এতে জেলার ফসলের খেতও ডুবছে।
তথ্য অনুসারে জেলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৩৪ হেক্টর বোরো জমি তলিয়ে গেছে।
একইসাথে ১ হাজার ১২৭ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা এবং ২৪৩ হেক্টর সবজির জমিও পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এতে নতুন করে আরও এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
আরও কিছু ফসলের খেত তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এখানকার কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বোরো জমির ৯৫ শতাংশ ফসল কাটা হয়েছে সিলেট জেলায়।
যেটুকু ধান কাটা বাকি ছিল, তার থেকে কিছু জমি পানিতে ডুবে গেছে।
তবে দ্রুত পানি কমে যাবে।
এতে এসব জমির ধান দ্রুতই কাটা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
ভেসে গেছে জেলার বিভিন্ন পুকুরের মাছ
এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে চাষের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
ভুক্তভোগীরা দাবি করেন এতে মৎস্য চাষিদের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একজন মৎস্য চাষির সাথে কথা হয়।
তিনি জানান, পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি উপচে তাঁদের এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এর ফলে তাঁর দুটি পুকুরের সব মাছই ভেসে গেছে।
সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে।
কোথায় কী পরিমাণ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, সেসব তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
পাশাপাশি এখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নির্ধারণ করা হবে।
তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
তবে এখানেই সব শেষ নয়।
সংশ্লিষ্ট সকলে বলছেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
অনেকে আশংকা করছেন এমন অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেড়ে যাবে।