ভেষজ উদ্ভিদ তুলসী। কেবল আমাদের দেশই নয়। পার্শ্ববর্তী দেশ সহ বিভিন্ন দেশেই ভেষজ এই উদ্ভিদের ঔষধি গুণাগুণ বিখ্যাত। সনাতন ধর্মের লোকজন এই গাছকে পবিত্র মনে করে পূজো করে থাকেন। তবে কেবল ধর্মীয় ক্ষেত্রেই নয়, বিভিন্ন ধরণের রোগ সারাতে এর প্রচুর ব্যবহার হয়ে থাকে।
বাড়িতে একটি তুলসী গাছ থাকলে সর্দি, কাশি ইত্যাদিতে এর নির্যাস ব্যবহার করে ভাল উপকার পাওয়া যায়। তবে ফ্ল্যাট বাসায় চাইলে সহজেই টবে তুলসী গাছ রোপন করা যেতে পারে। তাই আজ আমরা জানার চেষ্টা করব যে কিভাবে সহজেই টবে তুলসী গাছ লাগানো যায়।
তুলসী খুবই উপকারী একটি গাছ। এর ঔষধি গুণাগুণ থেকে হার্ট, রক্ত চলাচল, ঠান্ডা ইত্যাদি রোগ সারাতে খুবই কার্যকরী। তাই সহজেই টবে তুলসী গাছ লাগিয়ে এর উপকার নেয়া যেতে পারে।
তুলসী গাছের চাষ
ঔষধি গুণ সম্পন্ন তুলসী গাছ একটি চিরহরিৎ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ।
তুলসি গাছ আমাদের দেশে অনেকে জায়গায়ই রয়েছে।
প্রায় সবধরণের মাটিতেই এ গাছটি জন্মে থাকে।
চাষের প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমেই একটি ৮ বা ১০ ইঞ্চির টব বাছাই করতে হবে।
খুব সুন্দর এবং সুস্থ-সবল একটি তুলসি গাছ সংগ্রহ করতে হবে।
সব মাটিতে তুলসি গাছ ভালো হয়।
তবে কিছুটা লবনাক্ত মাটি তুলসি গাছের জন্য খুবই ভালো।
সে কারণে তুলসী গাছের জন্য নদীর সাদা বালি খুবই ভালো ও উপকারী।
মাটি প্রস্তুত করার জন্য জন্য মাটি খুব ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
১ ভাগ নদীর সাদা বালি, ১ ভাগ মাটি এবং ১ ভাগ জৈব সার একসাথে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে প্রথমে।
তারপর সুন্দর ভাবে টবে গাছটি বসাতে হবে।
টবে বসানোর পর গাছে পানি সেচ দিন।
প্রতিদিন তুলসি গাছ ৪ ঘন্টা মত রোদ পেলেই তার জন্য যথেষ্ট।
তবে তুলসি গাছে সব সময় পানি দেয়া যাবে না।
টবের মাটি যখন কিছুটা শুকিয়ে যাবে তখন আবার পানি সেচ দিতে হবে।
প্রতি মাসে টবে সরিষার খৈল এবং টিএসপি বা ডিএপির মিশ্রণ প্রতি মাসে ১ চামচ করে প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
সাধারণত রোগ মুক্ত গাছ হিসেবে তুলসি গাছের খ্যাতি রয়েছে।
তবে মাঝে মাঝে কিছু কিছু পোকা এ গাছে আক্রমণ করে থাকে।
এরূপ পোকার আক্রমণ হলে তখন গাছে নিম অয়েল এবং ডিটার্জেন্ট সাবান মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।