পাবনার বাজারে নতুন হালি পেঁয়াজ আসার আরও প্রায় একমাস বাকি। তবে মুড়ি পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে কৃষক, পাচ্ছেন না কাঙ্খিত দাম। হাটে বিক্রি করতে গিয়ে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। নতুন হালি পেঁয়াজের বাজার নিয়ে এখন চাষিরা ব্যাপকভাবে চিন্তিত। এদিকে আবহাওয়া বিপর্যয়ের কারণে পেঁয়াজে দেখা দিয়েছে রোগবালাই। যার কারণে ফলন নিয়েও চাষিরা ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। যদিও কৃষি বিভাগ আশা প্রকাশ করেছে কিন্তু মুড়ি পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে থাকা কৃষক তাতে ভরসা পাচ্ছেন না। আগামী দিনগুলোতে আবহাওয়া ভালো থাকলে চাষিরা পেঁয়াজ চাষে বেশ লাভবান হবেন বলছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
অভিজ্ঞ চাষিরা খুব কম সময়েই লাভের মুখ দেখেছেন
জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিদের সূত্রে জানা যায়, পেঁয়াজের প্রতি কেজি চারা গত বছর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়।
কিন্তু এবার তা বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে।
প্রতি কেজি পেঁয়াজের বীজ এবছর বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায়।
পাবনা জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে চাষিদের কর্মব্যস্ততার চিত্র দেখা যায়।
নতুন হালি পেঁয়াজ নিয়ে চাষিদের স্বপ্ন থাকলেও মুড়ি পেঁয়াজে স্বপ্ন ভঙ্গের আশংকাও রয়েছে তাদের মনে।
অভিজ্ঞ চাষিরা আক্ষেপ করে জানান পেঁয়াজ চাষে খুব কম সময়েই তারা লাভের মুখ দেখেছেন।
চাষিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদন খরচ বেশি হলেও তা কেউ হিসেব করেন না।
কিন্তু কত টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেই হিসাব সবাই করেন আর ভাবেন কৃষকরা খুব লাভবান হচ্ছেন।
চাষিরা আরও জানান, বছরের পর বছর ধরে পেঁয়াজের দাম কম থাকার ধারণা চাষিদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তাদের মতে, দেশে সব কিছুর দাম বাড়ার পাশাপাশি জনগণের আয় বাড়ছে।
সেকারণে পেঁয়াজের দামও প্রতিবছর বাড়লে চাষিরা লাভবান হতে পারবেন নতুবা নয়।
এবার অসময়ে দুই দফায় বৃষ্টি হয়।
এতে পেঁয়াজ এর অনেক ক্ষতি হয়েছে ও সেগুলো আকারে ছোট হবে বলে চাষিদের কাছ থেকে জানা যায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, কৃষকরা এখন পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পেঁয়াজ কৃষকদের অর্থকরী ফসলের মধ্যে অন্যতম।
পাবনা অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষে উপযোগী জানিয়ে তিনি বলে সবসময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
মৌসুমের শেষের দিকে চাষিরা হালি পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়েছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।