Saturday, 28 June, 2025

সর্বাধিক পঠিত

মিলছে বারমাসি আম ৩০০ টাকা কেজিতে


চলছে পবিত্র রমজান। এ সময় ইফতারিতে আম খেতে কে না ভালবাসবে। বারমাসি আমের কারনে জ্যৈষ্ঠের ফল আম পাড়তে অপেক্ষা করতে হয় না আম চাষিদের। মৌসুমি ফল আগাম জাতের আম বাজারে আসতে এখনও একমাস বাকি।

এই বৈশাখে পাকা আম পাওয়া যাচ্ছে। আমের রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে। তবে দাম বেশ চড়া। প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেক ক্রেতা।

আমচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত মে থেকে সেপ্টেম্বর মোট ৫ মাস আমের মৌসুম থাকে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি সময়ে পাকে আগাম জাতের আম। ‘কাটিমন’ আম ১২ মাসের হওয়ায় দাম ভালো পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে এই আম চাষ করে লাভবান হচ্ছে অনেকে।

আরো পড়ুন
কবুতর পালনে করনীয় ও লক্ষনীয়

অনলাইনে কবুতরের জাত নিয়ে প্রচুর কৌতূহল দেখা যায়। শুধু গিরিবাজ বা সিরাজি নয়, আরও অনেক ধরনের কবুতর বাংলাদেশে জনপ্রিয়। এদের Read more

ফলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা জনপদ: এক অনন্য উৎসব ‘ফল মেলা’

বাংলার বাতাসে যখন আমের সুবাস, কাঁঠালের ঘ্রাণ আর জাম-লিচুর মিষ্টি রসে ভরে ওঠে জনপদ, তখনই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বসে এক Read more

সরেজমিনে উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের কোচকুড়লিয়া এলাকায় বকুল ৫ বিঘা ও একই ইউনিয়নের সারোকডাংগা এলাকার হাফিজুরের ১৫ বিঘা বারোমাসি আমবাগানে গিয়ে দেখা যায়, বারোমাসি আমের বাগান থেকে ‘কাটিমন’ আম কার্টনে ভরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন।

হাফিজুর ও বকুল বলেন, গত চার-পাঁচ বছর ধরে বারোমাসি আম চাষের সঙ্গে জড়িত। এর আগে ভালো লাভবান না হলেও এবার আমের দাম ভালো হওয়ায় আমরা গত তিনমাসে প্রায় ২০ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। আশা করছি সামনে ছয় থেকে আট মাসে আরও প্রায় ৩০ লাখ টাকার আম বিক্রি করা যাবে।

নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, ‘কাটিমন’ মৌসুমি আম না হওয়ায় চাহিদা বেশি। তবে আমের স্বাদ ভালো। একসময় আমের চাষ শুধু দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের কয়েকটি জেলায়ই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ‘আম্রপালি’ ও ‘কাটিমন’ দুটি জাতের প্রবর্তনের ফলে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে নওগাঁ সাপাহারের নাম।

0 comments on “মিলছে বারমাসি আম ৩০০ টাকা কেজিতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ