Tuesday, 05 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

মাছের বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য জনপ্রিয় করতে মন্ত্রীর আহবান


বাংলাদেশ নদী প্রধান দেশ। নদী প্রধান এই দেশের অন্যতম প্রধান খাদ্য মাছ। সেই মাছই পারে বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে। এতে মৎস্যসম্পদের সর্বোচ্চ উপযোগ সৃষ্টি এবং মাছের বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য জনপ্রিয় করার প্রয়োজনীয়তা অনেক। মাছের বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য জনপ্রিয় করার এমন আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন শুধু ভাতের সঙ্গে খাওয়া ছাড়াও মাছ থেকে কী কী ভোগ্যপণ্য তৈরি করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে।

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১

রাজধানীর মৎস্য ভবনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে গত শুক্রবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
ডিমের দাম কমেছে, পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে সময় লাগবে: ভোক্তার ডিজি
মহাপরিচালক আলীম আখতার খান

বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ফলে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে, তবে পুরোপুরি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে Read more

দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল

দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। এই দিন সারাদেশে একযোগে আটটি মূল কেন্দ্র Read more

মন্ত্রী বলেন যে আমাদের মৎস্যসম্পদের বহুবিদ উপযোগ সৃষ্টি তে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি এর বহুমুখী ব্যবহারের ক্ষেত্র তৈরির জন্য  কাজ করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মৎস্য ও মৎস্যজাতীয় জলজ সম্পদ এর নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে।  বিভিন্ন বেকারি পণ্য, চিপস, ফিস বলসহ অন্যান্য খাবার তৈরি করাই যেতে পারে। এমনকি মাছের নানাবিধ ব্যবহারের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে।

তিনি আরও বলেন যে আজকাল  স্বাভাবিকভাবে মাছ খায়না অনেকেই। কিন্তু তারাই আবার রেস্তোরাঁয় মাছ দিয়ে তৈরি খাবার অর্ডার করে। পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে তাই এক প্রক্রিয়ায় মাছ না খেলে মানুষকে অন্য কোন প্রক্রিয়ায় খাওয়াতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।  মাছের বহুমুখী পণ্যের বিকাশ হোক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বেসরকারি খাতকে মাছের খাদ্য উপকরণ দেশে তৈরির লক্ষে শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান মন্ত্রী। এক্ষেত্রে তিনি আশ্বস্ত করেন কর অব্যাহতি সুযোগসহ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে ধরনের সহযোগিতা লাগবে তা দেয়া হবে বলে।

মন্ত্রী জানান মৎস্যজীবী নয় এমন অনেক মানুষের কার্ড রয়েছে। এরূপ মানুষের কার্ড বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কার্ড দেয়ার ব্যাপারে তারা কাজ করছেন।  এবং প্রকৃত মৎসজীবীর কাছে যথাযথভাবে সরকারি সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

মন্ত্রী সতর্ক করে দেন যাতে কোন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জাল সনদ অথবা রাসায়নিক মিশ্রিত মৎস্য রপ্তানি না করে।একই সাথে মন্ত্রী এও বলেন যে মৎস্য রপ্তানির ক্ষেত্রে রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে দেশের স্বার্থে।

তিনি বলেন, মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করা, কাজে সম্পৃক্ত করা, এ খাতের প্রতি জনগণকে আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান ও িএখাতে উদ্ভাবনে উৎসাহ প্রদান করাই মৎস্য সপ্তাহের অন্যতম লক্ষ্য।’

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।  বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, যিনি ২০৪১ এর মধ্যে মৎস সম্পদের উৎপাদন দ্বিগুন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

0 comments on “মাছের বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য জনপ্রিয় করতে মন্ত্রীর আহবান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *