Friday, 27 June, 2025

সর্বাধিক পঠিত

মাছচাষে সফল তরুণ উদ্যোক্তা শাখাওয়াত, শখ থেকে পেশা


দেশে বেকার সমস্যা প্রকট। কিন্তু এর মাঝেও ঘরে বসে না থেকে নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে চান শিক্ষিত বেকার তরুণরা। নিজের পায়ে দাড়াতে তাদের আগ্রহের কমতি নেই। এমনই স্বাবলম্বী একজন মাছচাষে সফল তরুণ উদ্যোক্তা শাখাওয়াত।

শখ থেকে এসেছেন মাছ চাষের পেশায়

শাখাওয়াত শখের বশে নিজ এলাকায় মাছ চাষ করেছেন । সেই শখের চাষ থেকে এখন হাঁটছেন সাফল্যের পথে । বর্তমানে ৩০ বিঘা জমির ৬ টি পুকুর রয়েছে তার ।

আরো পড়ুন
কবুতর পালনে করনীয় ও লক্ষনীয়

অনলাইনে কবুতরের জাত নিয়ে প্রচুর কৌতূহল দেখা যায়। শুধু গিরিবাজ বা সিরাজি নয়, আরও অনেক ধরনের কবুতর বাংলাদেশে জনপ্রিয়। এদের Read more

ফলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা জনপদ: এক অনন্য উৎসব ‘ফল মেলা’

বাংলার বাতাসে যখন আমের সুবাস, কাঁঠালের ঘ্রাণ আর জাম-লিচুর মিষ্টি রসে ভরে ওঠে জনপদ, তখনই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বসে এক Read more

শাখাওয়াত হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা।

উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে তিনি বাস করেন।

শাখাওয়াত জানান, মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।

আরও দুই তরুণ তার সঙ্গে রয়েছে। তিনজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা তারা মাস্টার্স পাস।

চাকরির চেষ্টা অবশ্য করেছেন।  কিন্তু সোনার হরিণ যখন ধরা দেয়নি তখন ঘরে বসে থাকেন নি।

উদ্যোক্তা হয়ে আয় রোজগার করা তাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখান থেকেই।

শাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে জানান, এসএসসি পাস করে  ২০০৬ সালে তিনি মাছ চাষ শুরু করেন। মাছ চাষ করাটা তার এক ধরণের নেশা। ২০০৬ সালে ৫ কাঠার একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন প্রথম। একই সাথে তার একটি ফিস ফিডের দোকান রয়েছে। মাছ চাষও চলে, পাশাপাশি লেখাপড়ায় জড়িত থাকেন তিনি।

মাস্টার্স পাশ করেই পূর্ণ মনোনিবেশ করেছেন ব্যবসায়

এভাবে তিনি মাস্টার্স পাস করেন। এ ব্যবসায় মাস্টার্স পাশ করার পরে তিনি বেশি মনোনিবেশ করেন।

বর্তমানে তিনি এটাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

তার চাষ করা পুকুর গুলোতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার মাছ ছাড়া হয়েছে। এই ১৫ লাখ টাকার মাছ ছাড়ার ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে ।

শা্খাওয়াত জানান, মাছের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

রয়েছে ৬ প্রজাতির মাছ যেমন- রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকাপ, পাবদা মাছ। সামনে উন্নত প্রযুক্তিতে আরও মাছ চাষ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি।

সহযোগীতা করেছেন উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় গোমস্তাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবু বক্কর সিদ্দিক এর কাছে। তিনি জানান, শাখাওয়াতের পুকুরে তারা প্রায়ই যান।

ইতিমধ্যে তারা অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাকে সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন।

দেয়া হয়েছে এয়ারেটর মেশিনসহ করোনাকালীন প্রণোদনা।

মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এ উপজেলার কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ভবিষ্যতে জেলায় মাছ উৎপাদনের পরিমাণ আরো বাড়বে যা দেখা যাবে সকল গৃহীত পদক্ষেপের সুফল হিসেবে ।

0 comments on “মাছচাষে সফল তরুণ উদ্যোক্তা শাখাওয়াত, শখ থেকে পেশা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ