Friday, 26 September, 2025

পেঁয়াজের নতুন দুইটি জাত উদ্ভাবন করেছে বিনা, চাষ হবে গ্রীষ্মকালে


পেয়াজ

মসলা জাতীয় যে কোন খাবার পেঁয়াজ ছাড়া কল্পনা করা সম্ভব না। যার কারণে বিভিন্ন অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে মাঝেমধ্যেই থাকে এই মসলা জাতীয় খাদ্যটি। এসব চিন্তা করেই দীর্ঘ বছর গবেষণার মাধ্যমে পেঁয়াজের নতুন দুইটি জাত উদ্ভাবন করেছে বিনা। কৃষকদের কাছে পেঁয়াজের নতুন দুইটি জাত ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা।

নানা পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে বিনাপেঁয়াজ-১ ও বিনাপেঁয়াজ-২ জাতটিকে নিয়ে।

পেঁয়াজ চাষে বিপ্লবের সম্ভবনা রয়েছে ফরিদপুর, যশোর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, মাদারীপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায়।

আরো পড়ুন
ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

ঢাকায় শুরু হলো আগ্রোফরেস্ট্রি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং গ্রামীণ জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ বৈঠক। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) Read more

এ ছাড়া অন্য জেলাতেও কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে এই পেঁয়াজ চাষাবাদ করতে।

গ্রীষ্মকালেও এটা চাষ করা সম্ভব

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানায়, দেশে পেঁয়াজ চাহিদা শুধুমাত্র শীতকালে পেঁয়াজ উৎপাদন করে মেটানো সম্ভব না।

এ কারণে এই জাতটি উদ্ভাবন করা হয়েছে গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজ উৎপাদন করতে।

খরিফ-১ মৌসুমে এ দুই জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন হয়।

এতে তেমন কোনো পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ হয় না।

এ জাত অন্য যে কোন জাতের চেয়ে কন্দ ও বীজ উৎপাদনে অধিকভাবে সক্ষম।

স্বাভাবিক অবস্থায় এ জাতের কন্দের সংরক্ষণকাল  দুই মাস বা তার চেয়ে বেশি।

একই বছরে বীজ থেকে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব।

দেশের অন্য জাতের ক্ষেত্রে এমনটি দেখা যায় না।

এ জন্য কৃষক এই পেঁয়াজ উৎপাদনে লাভবান হবেন।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিসের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এই দুই জাতের পেঁয়াজের উদ্ভাবক।

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ও ফাহমিনা ইয়াসমিন সহযোগী গবেষক হিসেবে ছিলেন।

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফাহমিনা ইয়াসমিন জানান, দেশে সারা বছর পেঁয়াজ চাষাবাদ হয় না।

ফলে চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

শুধু শীতকালে পেঁয়াজ চাষ করে পেঁয়াজ এর চাহিদা মেটানো সম্ভব না।

তাই ২০০৬ সাল থেকে গবেষণা শুরু হয় গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজ উৎপাদন করতে।

আবুল কালাম আজাদ জানান, হেক্টর প্রতি ৮ থেকে ১০ টন উৎপাদন সম্ভব তাদের উদ্ভাবিত এই দুই জাতের পেঁয়াজ থেকে।

যেহেতু শীতকালে পেঁয়াজ চাষাবাদ করে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব না, তাই এই জাতটি চাষাবাদ সম্ভব হলে বিদেশি পেঁয়াজ আর প্রয়োজন হবে না।

দেশের টাকা দেশেই থাকার পাশাপাশি কৃষকও লাভবান হবেন বলে তিনি জানান।

0 comments on “পেঁয়াজের নতুন দুইটি জাত উদ্ভাবন করেছে বিনা, চাষ হবে গ্রীষ্মকালে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ