বাংলাদেশের ৬০ ভাগ মুগডাল উৎপাদনকারী জেলা পটুয়াখালীতে চলতি বছরেও মুগ ডালের বাম্পার হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে তাই মুগডাল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষক-কিষাণীরা।
পটুয়াখালীতে এ বছর ৮৬ হাজার ৪৩১ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় জাতের মুগের আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে এক লাক ৩১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন।
মুগ ফসল তোলার কাজে প্রায় দুই মাস গ্রামের দরিদ্র নারীদের ব্যাপক কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই কাজে নারীরাই বেশি পরদর্শী হয়। পটুয়াখালী অঞ্চলে সাধারণত তিন বার ক্ষেত থেকে ডাল তোলা হয়। এর মধ্যে প্রথম দফায় নারী শ্রমিকরা আহরিত ডালের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পায়, দ্বিতীয় দফায় তিন ভাগের এক ভাগ ও শেষ দফায় দুই ভাগের এক ভাগ নিয়ে থাকে। কৃষি বিভাগ থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকতেই থাকতেই ক্ষেত থেকে মুগ ফসল তুলতে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান কৃষকরা। ইতিমধ্যে জেলার আবাদকৃত মুগ ফসলের ৯৫ ভাগ তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক এ,কে,এম মহিউদ্দিন জানান, জেলায় প্রতিবছরই মুডগালের বাম্পার ফলন হচ্ছে। আমন ফসল ওঠার পরই পরই জমি চাষ দিয়ে মুগের বীজ বপন করে কৃষকরা। স্বল্প পরিশ্রম ও ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকরা মুগ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
তিনি জানান, বাম্পার ফলন হওয়ায় ৯ মে কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক মুগ ফসল দেখতে পটুয়াখালী এসেছিলেন। বদরপুর ও কালিকাপুরে তিনি দুটি মুগ ডালের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন।