Wednesday, 11 December, 2024

সর্বাধিক পঠিত

পটিয়া উপজেলায় পরিত্যক্ত পুকুর ও জলাশয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার উদ্যোগ প্রয়োজন


চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় প্রায় একশটি পুকুর ও জলাশয় বছরের পর বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক, এবং আইনি জটিলতার কারণে এই জলাশয়গুলো মাছ চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় এ উপজেলায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, পটিয়া উপজেলায় মোট পুকুর ও দিঘির সংখ্যা ৮৮৩৩টি, যার আয়তন ১৮৫৪.৯৩ হেক্টর। এর মধ্যে ৫৬টি খাস পুকুর ও ১৮টি জলমহাল রয়েছে। বার্ষিক মাছ উৎপাদন ৯০৮৭.৬৫ মেট্রিক টন হলেও, চাহিদা রয়েছে ৯০৫২.০০ মেট্রিক টন। তবুও মালিকানা জটিলতার কারণে ৮০-৯০টি জলাশয় পরিত্যক্ত থেকে যাচ্ছে।

পটিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসার স্বপন চন্দ্র দে জানান, জলাশয়ের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। মাছ চাষি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, এসব জলাশয় সংস্কার এবং আইনি জটিলতা সমাধান করা গেলে পটিয়া উপজেলায় মাছ চাষের সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়বে।

আরো পড়ুন
আধুনিক আলু চাষে কীটনাশকের ব্যবহার ও সতর্কতা

আলু চাষে কীটনাশক ব্যবহারের প্রধান লক্ষ্য হলো পোকামাকড় ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ করা, যা আলুর উৎপাদন ও গুণগত মান বজায় রাখতে Read more

আলুর আধুনিক চাষ পদ্ধতি এবং পরিচর্যা

আধুনিক চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করলে আলুর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং চাষীদের লাভ বাড়ে। এতে উন্নত প্রযুক্তি, সঠিক জাত নির্বাচন, সুষম Read more

উপজেলায় বর্তমানে ৩৪৩০ জন মৎস্য চাষি এবং ২২২টি মৎস্য নার্সারি রয়েছে। বার্ষিক পোনা উৎপাদন ৮০৭.১৭ লক্ষ, যা চাহিদার চেয়ে ৯৩.৮৩ লক্ষ বেশি। এছাড়া উপজেলায় রয়েছে একটি মেটকো লিমিটেড মৎস্য খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং তিনটি হ্যাচারি।

জলাশয়গুলোকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে মাছ চাষ বৃদ্ধি পেলে পটিয়া উপজেলায় মৎস্য উৎপাদন আরও সমৃদ্ধ হবে। এ উদ্যোগ স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং চট্টগ্রামের সামগ্রিক মৎস্য চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

0 comments on “পটিয়া উপজেলায় পরিত্যক্ত পুকুর ও জলাশয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার উদ্যোগ প্রয়োজন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *