Friday, 15 August, 2025

পটিয়া উপজেলায় পরিত্যক্ত পুকুর ও জলাশয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার উদ্যোগ প্রয়োজন


চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় প্রায় একশটি পুকুর ও জলাশয় বছরের পর বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক, এবং আইনি জটিলতার কারণে এই জলাশয়গুলো মাছ চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় এ উপজেলায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, পটিয়া উপজেলায় মোট পুকুর ও দিঘির সংখ্যা ৮৮৩৩টি, যার আয়তন ১৮৫৪.৯৩ হেক্টর। এর মধ্যে ৫৬টি খাস পুকুর ও ১৮টি জলমহাল রয়েছে। বার্ষিক মাছ উৎপাদন ৯০৮৭.৬৫ মেট্রিক টন হলেও, চাহিদা রয়েছে ৯০৫২.০০ মেট্রিক টন। তবুও মালিকানা জটিলতার কারণে ৮০-৯০টি জলাশয় পরিত্যক্ত থেকে যাচ্ছে।

পটিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসার স্বপন চন্দ্র দে জানান, জলাশয়ের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। মাছ চাষি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, এসব জলাশয় সংস্কার এবং আইনি জটিলতা সমাধান করা গেলে পটিয়া উপজেলায় মাছ চাষের সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়বে।

আরো পড়ুন
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫: মৎস্যসম্পদ রক্ষায় নতুন প্রতিজ্ঞা

দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষা, সম্প্রসারণ ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে আবারও শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘অভয়াশ্রম Read more

কাপ্তাই হ্রদে মাছের বাম্পার ফলন, রাজস্ব আয়ে নতুন রেকর্ড

মাছ ধরার জন্য দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। আর মাত্র সাত দিনেই এই হ্রদে Read more

উপজেলায় বর্তমানে ৩৪৩০ জন মৎস্য চাষি এবং ২২২টি মৎস্য নার্সারি রয়েছে। বার্ষিক পোনা উৎপাদন ৮০৭.১৭ লক্ষ, যা চাহিদার চেয়ে ৯৩.৮৩ লক্ষ বেশি। এছাড়া উপজেলায় রয়েছে একটি মেটকো লিমিটেড মৎস্য খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং তিনটি হ্যাচারি।

জলাশয়গুলোকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে মাছ চাষ বৃদ্ধি পেলে পটিয়া উপজেলায় মৎস্য উৎপাদন আরও সমৃদ্ধ হবে। এ উদ্যোগ স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং চট্টগ্রামের সামগ্রিক মৎস্য চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

0 comments on “পটিয়া উপজেলায় পরিত্যক্ত পুকুর ও জলাশয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার উদ্যোগ প্রয়োজন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ