রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। একদিকে কিছু পণ্যের দাম কমলেও অন্যান্য অনেক পণ্যের দাম স্থিতিশীল নয় বা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে সাধারণ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষরা বিপাকে পড়ছেন।
শীতকালীন সবজি বাজারে এলেও তেমন দামে প্রভাব পড়েনি, ফলে ক্রেতারা প্রত্যাশিত মূল্যহ্রাস দেখতে পাচ্ছেন না। মুরগির দাম কিছুটা কমলেও অন্যান্য পণ্য যেমন শাকসবজি, আলু, পেঁয়াজ, রসুন এবং আদার দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে গিয়ে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সংবাদ মাধ্যমে সবজির দাম কমার খবর পেলেও বাস্তবে বাজারে সেই প্রভাব নেই। ক্রেতাদের মতে, সরকারী পর্যায়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানো না হলে এই মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে আরও সংকট তৈরি করবে।
এ অবস্থায় বাজারের চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়:
- মুরগির দাম: ব্রয়লার ১৮৫-১৯০ টাকা, সোনালি ২৯০-৩০০ টাকা।
- মাছের দাম: দেশী কৈ ৭০০ টাকা, পাঙ্গাস ২২০-২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০-২৮০ টাকা।
- সবজির দাম: উস্তা ১০০ টাকা, ফুলকপি ৫০-৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, গাজর ও টমেটো ১৬০ টাকা।
- মূল খাদ্যদ্রব্য: আলু ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, রসুন ২৩০ টাকা, আদা ২৬০ টাকা।
এই পরিস্থিতিতে সাধারণ ক্রেতাদের অর্থনৈতিক চাপ সামাল দিতে বিশেষ নজরদারি এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।