নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার যুব কৃষি উদ্যোক্তা শফিকুল ইসলাম রানা বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ব্যতিক্রমী সফলতা অর্জন করেছেন। তার নিজস্ব ১০ কাঠা জমির বাগানে ৪৫টি কমলা গাছে ঝুলছে সুস্বাদু ও মিষ্টি কমলা, যা স্থানীয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
কমলা চাষের যাত্রা
পাঁচ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা থেকে সংগ্রহ করা চারা দিয়ে রানার এই যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে জমি প্রস্তুতি, চারা সংগ্রহ, এবং পরিচর্যা করেন তিনি। বাংলাদেশে সাধারণত সবুজ কমলা চাষ হলেও রানার বাগানে কমলাগুলো প্রকৃত কমলা রঙের, যা দেশের বাজারে বিরল।
উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ
এ বছর রানার বাগানে ৯০০ কেজি কমলা উৎপাদিত হয়েছে। স্থানীয় বাজারে এই কমলা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাগান থেকে সরাসরি ক্রেতারাও কমলা কিনে নিচ্ছেন। এ মৌসুমে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার কমলা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
কম খরচে লাভজনক
শফিকুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, কমলা চাষে খরচ খুবই কম। শুধু জৈব সার এবং সেচের প্রয়োজন হয়। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি কমলা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত। এ অঞ্চলে কম খরচে দীর্ঘমেয়াদী ফলন পাওয়া সম্ভব।
স্থানীয়দের আগ্রহ
শফিকুলের সফলতা দেখে স্থানীয় অনেকেই কমলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিবেশীরা রানার বাগানের কমলাকে বিদেশি কমলার সমতুল্য বলে উল্লেখ করেছেন।
কৃষি বিভাগও কমলা চাষে আগ্রহীদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। এই সফলতা নওগাঁতে কমলা চাষের একটি নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে।