জাতীয় সবজি মেলা শেষ হল। এই মেলা আয়োজিত হয় রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে। আজ ২রা মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই জাতীয় সবজি মেলা শেষ হল।
এবারের মেলায় বিক্রয় ৩১ লাখ টাকা
কৃষি মন্ত্রনালয় এর তথ্য অনুসারে এবারের মেলায় প্রায় ৩১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে।
গত বছর জাতীয় এই মেলায় ৩০ লাখ টাকার সবজি বিক্রি হয়েছিল।
আজকের মেলা সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
ষষ্ঠবারের মতো কৃষি মন্ত্রণালয় এ মেলার আয়োজন করে।
মেলায় সরকারি-বেসরকারি ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৪৬টি স্টল অংশ নেয়।
‘নিরাপদ সবজি চাষ, স্বাস্থ্য পুষ্টি বারো মাস’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ মেলার আয়োজন হয়েছিল।
সমাপনী অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, ড. মো. আব্দুর রৌফ, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) শরিফা খান, কমলারঞ্জন দাশ, বিভিন্ন সংস্থা প্রধান এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব সকলের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
শাক-সবজি আবাদে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এটি বিতরণ করা হয়।
বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জেলা ও মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলের মধ্যে এ পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ টাকা প্রদান করা হয়।
শ্রেষ্ঠ জেলা মেহেরপুর
জাতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালে শাকসবজি আবাদে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার আব্দুল হালিম প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে দ্বিতীয় হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মো. আব্দুল বাছির বদু।
অন্যদিকে ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার কামরুল আহসান তৃতীয় হয়েছেন।
বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলার মো. মিজানুর রহমানকে।
জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছে চুয়াডাঙ্গা, দ্বিতীয় নারায়ণগঞ্জ ও তৃতীয় ঠাকুরগাঁও জেলা।
উৎপাদনের মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি, হেক্টরপ্রতি গড় ফলন সর্বোচ্চ ও দেশের সবজির চাহিদা পূরণে বিশেষ অবদান রাখার ভিত্তিতে এসকল জেলা পুরষ্কার লাভ করে।
সবজি ও সবজি বীজ উৎপাদনে বিশেষ অবদান বিবেচনায় মেহেরপুর শ্রেষ্ঠ জেলা নির্বাচিত হয়েছে।
সবজি ফসল গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কৃত করা হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে।
প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও নান্দনিকতা বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নির্বাচিত হয়েছে।
জাতীয় সবজি মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)।
বেসরকারি পর্যায়ে গ্রিন সেভারস অ্যাসোসিয়েশন প্রথম হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে কৃষক বাংলা অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস এবং বায়োটেক মাশরুম।
এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও পুরস্কৃত করা হয়।