কৃষকের জন্য নায্যমূল্য এখন সবসময়ের দাবী। যে দাবী করে আসছে সকলেই কিন্তু কাজের বেলায় এগিয়ে এসেছে কেবল সরকার। অথচ, সে বিষয়েও যে গতি নেই তাই যেন আক্ষেপের স্বরে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
অনলাইন একটি মতবিনিময় সভায় তিনি জানান যে ধান-চাল সংগ্রহের অভিযান চললেও তা কাঙ্খিত গতিতে এগোচ্ছে না সে অভিযান। বাংলাদেশ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এই পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় তিনি তার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে যোগ দিয়ে চালকল মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন যেন তারা চালের বাজার যেন স্থিতিশীল রাখেন। তিনি হুশিয়ারি দেন যে যারা সরকারি খাদ্যগুদামে চাল দেবেন না তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন যদি সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ না করেন তাহলে তবে সরকার চাল আমদানিতে যেতে বাধ্য হবে।
এই মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী খাদ্য কর্তৃপক্ষের চলমান কাজগুলোকে জোরদার ও গতিশীল করার নির্দেশ দেন। সেই সাথে বলেন, ২০১৩ সালের ও ২০১৫ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন ও নিরাপদ খাদ্য প্রতিষ্ঠিত হয় যাতে খাদ্যে ভেজাল মুক্ত থাকতে পারে সবাই। মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী জানান অতীতে বিভিন্ন সেমিনারসহ অনেক কাজ তিনি করলেও বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির জন্য সেভাবে আর কাজগুলো হচ্ছে না। তবে খুব তাড়াতাড়ি নতুন কর্মকান্ড শুরু করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
দেশে আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপনের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন ল্যাবরেটরির সাথে সাথে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন। যতবেশি টেস্টিং করা যাবে তত বেশি মানুষ এ সম্পর্কে জানতে পারবে, ততবেশি সচেতন হবে।
খাদ্য মন্ত্রনালয় সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সমন্বয়ে ও সঞ্চালনাতে এ সভায় আরো জানানো হয় যে ২০১৮ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী “জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিব” হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে আসছে। অন্যকোন দেশ খাদ্য দিবসের ধারণা পূর্বে দিতে পারেনি। সভায় এছাড়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব-কর্তব্য, সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্ব ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালন ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা আলোচনা করা হয়।