বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) গত ১০ বছরে বিভিন্ন ফসলের ২৬২টি উচ্চফলনশীল জাত ও ৪৩১টি উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এছাড়াও এ পর্যন্ত বারি থেকে মোট ৯১ টি আলুর জাত অবমুক্ত করা হয়েছে।
এসব প্রযুক্তি এবং উন্নত কৃষক পর্যায়ে দ্রুত পৌছানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধী জিএম আলুর জাত বাংলাদেশের চাষাবাদের আওতায় আনলে বাংলাদেশ আলু উৎপাদনে আরো এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউটে (বারি) অনুষ্ঠিত ফিড ফিউচার বায়োটেকনোলোজি পটেটো পার্টনারশিপ প্রকল্প (ফেইজ-১) এর অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালায় গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমান সরকারের ২০০৯-১৯ শাসনামলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) বিভিন্ন ফসলের ২৬২টি উচ্চ ফলনশীল জাত ও ৪৩১টি উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত বারি কর্তৃক মোট ৯১টি আলুর জাত অবমুক্ত করা হয়েছে।
এ সব জাত ও প্রযুক্তি কৃষকপর্যায়ে দ্রুত পৌঁছানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধী জিএম আলুর জাত বাংলাদেশে নিয়ে এসে চাষাবাদের আওতায় আনলে দেশ আলু উৎপাদনে আরও এগিয়ে যাবে বলে জানানো হয়।
বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএআরসির সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারির পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. এসএম শরিফুজ্জামান।