গত ছয় মাস আগে বদলি হয়েছেন চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের প্রধান কৃষি কর্মকর্তা। এখনো নতুন কেউ এ পদে যোগ দেননি। এ ছাড়া উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার আটটি পদ শূন্য তিন বছর ধরে। কৃষি বিভাগে জনবল সংকট হবার কারণে স্বাভাবিক কাজ করা যাচ্ছে না। কৃষি বিভাগে জনবল সংকট থাকায় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া, বিনা মূল্যে বীজ-সার বিতরণ ও তদারকি, পোকামাকড় দমনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
চাষিরা কোন সহায়তা বা পরামর্শ পাচ্ছেন না
কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ৪৫ হাজার ৫৫৯ জন কৃষক আছেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বদলি হন।
বর্তমানে মতলব উত্তর উপজেলার কর্মকর্তা এ পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
তাছাড়া শূন্য হয়ে রয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তার দুটি পদ।
সূত্র থেকে আরও জানা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা।
তার ১৯টি কৃষি ব্লকে ১৯ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা থাকার কথা রয়েছে।
এর মধ্যে গত তিন বছরে ৮টি পদে কোন কর্মকর্তা নেই।
পিতাম্বর্দী, আধারা, নায়েরগাঁও, খিদিরপুর, কালিকাপুর, নারায়ণপুর, নওগাঁও ও করবন্দ অঞ্চলে কোন কৃষি কর্মকর্তা নেই।
এ আট ব্লকে ১৯ হাজার ১৭৬ জন কৃষক আছেন।
এলাকার কৃষকরা জানান, তাদের খেতে পোকার আক্রমণ হয়।
কিন্তু পরামর্শের জন্য স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার খোঁজ করলে তারা জানতে পারেন এ এলাকায় কর্মকর্তা নেই।
তারা আরও জানান উপজেলার কৃষি কার্যালয় থেকে পরামর্শ নিতে নিতে অনেক সবজি নষ্ট যায়।
তাছাড়া তারা পরামর্শের সাথে সাথে বিনা মূল্যে সার ও বীজ বিতরণের কথা প্রায়ই জানতে পারেন না।
এতে তারা নানা ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
একজন কর্মকর্তা একাধিক ব্লকের দায়িত্ব পালন করছে
বারগাঁও ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী আনোয়ার।
তিনি বলেন, নিজ ব্লকের দায়িত্ব ছাড়াও পিতাম্বর্দী ও আধারা ব্লকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
একজনের পক্ষে তিনটি ব্লকের দায়িত্ব পালন কষ্টসাধ্য ব্যাপার বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন শূন্য পদে কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগ জরুরি।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আয়েত আলী।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে মতলব পৌর এলাকায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার ছয়টি পদ বিলুপ্ত করে একটি পদ করা হয়েছে।
ওই ছয় পদের কাজ করা একজন কর্মকর্তার পক্ষে অসম্ভব।
মতলব উত্তর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান যে, এ উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তার বেশ কটি পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে।
সে কারণে কৃষি কার্যক্রমে কোন প্রকার গতি নেই।
একাধিকবার জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালকের শূন্য পদে কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।