Thursday, 21 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

কৃষিখাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষমাত্রা


কৃষি খাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের এই লক্ষমাত্রা ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছিল।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ ঘোষণা করেছে তাদের  ‘ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণপূর্বক বার্ষিক কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি’।

কৃষি ও পল্লী ঋণের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতি আমলে নিয়ে এই লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের জন্য ১১ হাজারকোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।

আরো পড়ুন
দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে চমক দেখালেন কৃষক মুক্তার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কৃষক মুক্তার হোসেন মোল্যা দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে উদ্ভাবনী সাফল্য দেখিয়েছেন। সালথা উপজেলা পাট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত Read more

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে
স্বস্তি নেই সবজির বাজারে

রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। একদিকে কিছু পণ্যের দাম কমলেও অন্যান্য অনেক পণ্যের দাম স্থিতিশীল Read more

লক্ষমাত্রা অনুসারে গত অর্থবছরে মোট ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ১৬৬ জন কৃষক এই কৃষিঋণ পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৫ হাজার ৯৪৭ জন নারী।  তারা প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ নিয়েছেন। এছাড়া গত অর্থবছরে ২২ লাখ প্রান্তিক কৃষক ঋণ সেবা গ্রহণ করেছে।

কৃষকদের নিকট কৃষিঋণ সহজলভ্য করার লক্ষে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সে উদ্দেশ্যে বর্তমান নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বেশ কিছু বিষয় সংযোজিত হয়েছে। যেমন-

  1. উন্নত জাত সোনালি মুরগি ও মহিষ পালনের জন্য ঋণ প্রদান;
  2. সুদহার ৯ শতাংশ হতে হ্রাস করে ৮ শতাংশে উন্নীত করা;
  3. একরপ্রতি ঋণসীমা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি বা হ্রাস করা;
  4. মাছ চাষে ঋণসীমা বৃদ্ধি করা এবং বিতরণকৃত ঋণের তদারকি অধিকতর জোরদার করা।

মহামারিতে আর্থিক সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে কৃষি খাতে মূলধন সরবরাহের উদ্দেশ্যে গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব অর্থায়নে একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করে। এই স্কিম এর আয়তন পাঁচ হাজার কোটি টাকা। গত জুন ২০২১ মাসে এর মেয়াদ সমাপ্ত হয়।উক্ত স্কিমের আওতায় সকল তফসিলি ব্যাংকগুলো প্রায় চার হাজার কোটি  টাকা বিতরণ করে।

এছাড়াও গত অর্থবছরের ২৭ এপ্রিল সুদ-ক্ষতি সুবিধার আওতায় শস্য ও ফসল খাতে কৃষক পর্যায়ে চার শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণের  নোটিশ দেয়া হয়। সেই স্কিমটির মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হয়ে যায়। গত সারকুলারের আওতায় প্রায় ৪৮৮০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ হয়।

0 comments on “কৃষিখাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষমাত্রা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা