
বর্তমানে চলছে বৈশাখ মাস, যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ঝড়-বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ ধরনের আবহাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাকা ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছে।
কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথমার্ধে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু এলাকায়, মাঝামাঝি সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে এবং শেষ দিকে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু জায়গায় দমকা হাওয়া, বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে কৃষি তথ্য সার্ভিসের বেতার কৃষি অফিসার ইসমাত জাহান এমি বলেন, “বৈশাখে ধান ৮০ শতাংশ পাকা হলেই তা কেটে ফেলা উচিত। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জের হাওরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকদের পাকা ধান দ্রুত কেটে মাড়াই করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাওর অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।”
এদিকে, গত চার দিনের তাপপ্রবাহ শেষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টি সোমবারও অব্যাহত ছিল। রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ দেখা গেছে, এবং বেলা ১২:৪৫ মিনিটে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় আজ ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে এবং রংপুর বিভাগের দু-একটি এলাকায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের সর্বত্র দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আগামী চার দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়া, বিদ্যুৎ চমকানো ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকলেও ৩ মে থেকে তা আবার বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, “গোপালগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও পটুয়াখালী জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ ছিল, যা এখন কমে গেছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমবে, তবে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।