
সপ্তাহ ব্যবধানে কাচা মরিচ আদার দাম কিছুটা কমলেও অধিকাংশ নিত্যপণ্যের বাজার চড়া। বাজারে নতুন করে বেড়েছে চিনি, ডিম, আলু ও রসুনও কচুরমুখী।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যেসব পণ্যের দাম বাড়ার কথা নয়, সেইসব পণ্যেরও দাম বাড়ছে যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ ছাড়াই। ফলে বাজারে গিয়ে পছন্দের পণ্যই চাহিদামতো কিনতে পারছেন না অনেকেই।
ঢাকার বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির বাজারে উত্তাপ কিছুটা কমেছে। পটল, ঢ্যাঁড়স, কাকরোল, চিচিঙ্গাসহ বেশিরভাগ সবজির কেজি কেনা যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। যা আগে ১০-২০ টাকা বেশি ছিল। অন্যদিকে বাজারে টমেটো এখনো চড়া। টমেটো কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় আর কাঁচামরিচ কেনা যাচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।
অন্যদিকে মুদি বাজারে দুই সপ্তাহ আগে সয়াবিন তেলের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের মতোই বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ কম দেখা গেছে। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি জিরা বিক্রি করছেন ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা দরে। অথচ এক বছর আগে মসলাটির দাম ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
আদার দাম কিছুটা কমে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা ঈদের আগে ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা দরে।