কৃষির উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। তবে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা থাকা খুবই দরকার। কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (জিএপি) দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
গতকাল রোববার অনলাইনে একটি সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা-২০২০’ বাস্তবায়নে স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সারাদেশে দ্রুত জিপিএ বাস্তবায়ন করতে হবে
কৃষিমন্ত্রী জানান যে, এরই মধ্যে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (জিএপি) প্রণয়ন হলো অন্যতম।
সারাদেশে এই জিএপি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানান তিনি।
সেজন্য কর্মকর্তা, চাষি, রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
সেই সাথে তাদের সকলকে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
যেসব এলাকা থেকে শাকসবজি ও ফলমূল রপ্তানির সম্ভাবনা বেশি সেসকল স্থানে এই নীতিমালা বাস্তবায়িত হবে এখন।
আপাতত সেসব এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাইলট বা পরীক্ষামূলক ভাবে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হবে।
কৃষিকে রপ্তানিমূখী করতে হবে
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, কৃষিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করতে হবে।
আর এ জন্য কৃষিপণ্যকে করতে হবে রপ্তানিমুখী।
বর্তমানে কৃষি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হরে তার জন্য জিএপি মানতে হবে।
এটিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে নিয়ে সরকার এ নীতিমালা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন।
জিপিএ বাস্তবায়ন করার কাজ এগিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।
সভায় বাংলাদেশে জিপিএ কার্যক্রম বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
সেই সাথে জানানো হয় যে, এরই মধ্যে এ নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
সেই সাথে ম্যাট্রিক্স আকারে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এর দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।
জিএপি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন অংশীজন সমন্বয়ে স্টিয়ারিং কমিটি করা হয়েছে।
সেই সাথে টেকনিক্যাল কমিটি ও সার্টিফিকেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান সচিব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, মো. রুহুল আমিন তালুকদার, হাসানুজ্জামান কল্লোল, আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বিএআরসির চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজি বেনজীর আলমসহ অন্যান্য সংস্থার প্রধান ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা।